পিয়োসালপিক্স কি?
পায়োসালপিঙ্কস্ হল ফ্যালোপিয়ান টিউবে পুঁজ জমে ফোঁড়া।স্ত্রী প্রজননতন্ত্রে ফ্যালোপিয়ান টিউব বা জরায়ুনালী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। রজস্বলা হওয়ার পর প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম ফুটে ফ্যালোপিয়ান টিউবে যায়। শুক্রাণুর সঙ্গে ডিম্বাণুর মিলনের পর ভ্রূণের সৃষ্টি হয় এই ফ্যালোপিয়ান টিউবেই। তারপর ভ্রূণটি জরায়ুতে গিয়ে বিকশিত হয় সেখানে। এখন কোনও কারণে ফ্যালোপিয়ান টিউবে পুঁজ জমে ফোঁড়ার আকারে ‘ব্লকেজ’ বা বাধা তৈরি হলে (পায়োসালপিঙ্কস্) গর্ভধারণে সমস্যা হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সন্তানধারণে অক্ষম দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ২৫-৩৫ শতাংশে ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যায় ভোগেন।
পায়োসালপিঙ্কস্ কেন হয়
সাধারণত পিআইডি (পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিসিজ) বা পেলভিক ইনফেকশনের ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে তা থেকে পায়োসালপিঙ্কস্ হয়। পিআইডি রোগীদের মধ্যে প্রায় ১৬ শতাংশ এই সমস্যার মুখে পড়ে। পিআইডি হল স্ত্রী জননঅঙ্গে ইনফেকশন বা সংক্রমণ যা মূলত ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া ইত্যাদি যৌনবাহিত রোগের কারণে হয়। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস, টিউবারকুলোসিস থেকেও এই সংক্রমণ হতে পারে। আসলে এই ধরনের সংক্রমণ হলে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) শ্বেতকণিকাদের পাঠায় ঘটনাস্থলে। মৃত শ্বেতকণিকাগুলি ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে বন্দি হয়ে পড়ে পুঁজের সৃষ্টি করে। ক্রমে এই পুঁজ জমে ফোঁড়ার মতো ফুলে যায় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবকে ‘ব্লক’ করে দেয়। আশপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সার্জারি, এন্ডোমেট্রিওসিস, টিউব বা সংশ্লিষ্ট প্রজননঅঙ্গে ক্যানসার হলেও তা থেকে পুঁজ জমে পায়োসালপিঙ্কস্ হতে পারে।
পায়োসালপিঙ্কস্-এর উপসর্গ
পাইওসাল্পিক্স হতে পারে আপনি নিজেই নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারবেন:
- শ্রোণি এলাকায় ক্রমাগত ব্যথা হওয়া
- বুখার এবং ক্লান্তি অনুভব করা
- योनि से अपवाद स्राव होना
- নিচলে পেটে ব্যথানাক গাঁঠ হওয়া
- পিরিয়ডস কে পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া
- যৌনতা সময় ব্যথা হওয়া
- অনেকের যোনিস্রাব
ইন সবকে ছাড়াও, আপনি পাইসোসালপিক্সের লক্ষণ হিসেবে নিঃসন্তানতা বানি ইনফারটিভিটি কাম অভিজ্ঞতাও করতে পারবেন। তাই হল ছড়িয়েপিয়ান টিউব মবাদ থেকে ভর্তি এবং তাই অণ্ডাধ্যায় কোলগড়া পর্যন্ত পৌঁছানো এবং তার মধ্যে বিশ্লেষণ (ইমপ্লান্টেশন) থেকে বিরতি।
পাইসোসালপিক্স কা নির্ণয়
যদি এই মন্তব্যগুলি সম্পূর্ণরূপে উল্লেখ করা হয় না, তাহলে এটি অবস্থাগতভাবে পাইসোসালপিনক্সের জন্ম দিতে পারে। এটি পাইসোসালপিক্সের শেষ ধাপের জোফেলোপিয়ান টিউবগুলির জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই, এই অবস্থার লক্ষণগুলির অভিজ্ঞতা হবে ডাক্তারের পরামর্শে পরামর্শ দেওয়া হয়।
পাইসালপিক্সের রোগ নির্ণয় এবং এর কারণ কারণ জানার জন্য ডাক্তার নিম্নলিখিত পরীক্ষা করে:
-
পেলভিক আল্ট্রাসাউন্ড
এই পরীক্ষায় একটি ট্রান্সড্যুসার ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি বিশেষ জেলের সাথে লেপ্টে আছে। আবার এই সরঞ্জামটি আপনার পেটের উপরে এবং ইধার-উধার সরকায়া যাচ্ছে।
এটি আপনার প্রজনন অঙ্গগুলির মতো কিফ্লোপিয়ান টিউব, গর্ভাবস্থা এবং অন্ডাধ্যায়ের ছবি তোলার জন্য শব্দের তরঙ্গগুলি ব্যবহার করে এবং তাদের মনিটর পর্দায় প্রচার করা হয়। এটা ডাক্তার কোফ্লোপিয়ান টিউব (পায়োসালপিনক্স)-এ बाधा डालने वाले मवाद को देखने में मदद करते हैं।
-
পেলভিক এমআরআই
এই পরীক্ষা করার জন্য, আপনি একটি টেবিলের উপর আরাম করার প্রয়োজন হবে যা একটি মেশিনের মাধ্যমে স্ক্রিপ্ট করবে। মেশিন আপনার ছড়িয়েপিয়ান টিভি, অন্ডাধ্যায় এবং অন্যান্য অঙ্গগুলির ফটো তৈরি করার জন্য শক্তিশালী রেডিও এবং চুম্বকীয় তরঙ্গগুলি ব্যবহার করে। ডাক্তারকে পাইয়োসালপিক্স দেখতে সাহায্য করবে।
-
লেপ্রোস্কোপি
এটি সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া আপনার ছড়িয়েপিয়ান টিউব চেক করার জন্য জাতি। একটি ডাক্তার আপনার পেটের কাছে একটি চিরা লাগাতা আছে এবং আপনার প্রজনন অঙ্গগুলিকে স্পষ্টভাবে দেখার জন্য এটি গ্যাস থেকে ভরে লেপ্রোস্কোপ নামক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে।
কখনও-কभी, ডাক্তার কাটার মাধ্যমে শ্যাল্য চিকিৎসা সরঞ্জামের ভিতরে ঢুকতে পারেন। বিশ্লেষণের জন্য বায়োপসি (উতক কা নমুনা বের করে) নেওয়ার জন্য এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা খারি করতে পারে।
নিশ্চিত হতে ল্যাপারোস্কোপিও করা হয়। নাভিদেশ বা পেলভিক বোনের কাছে একটা ফুটো করে ট্রোকার ঢোকানো হয় এবং তার ভিতর দিয়ে টিউবের সাহায্যে কার্বন-ডাইঅক্সাইড গ্যাস ঢুকিয়ে পেট ফোলানো হয়। যাতে পেটের চামড়া (অ্যাবডোমিনাল ওয়াল) থেকে ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা হয়ে জায়গাটা মনিটরিংয়ে সুবিধা হয়। এই কাজটা হয়ে যাওয়ার পর গ্যাস টিউব সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেই ট্রোকারেই এবার ল্যাপারোস্কোপ ঢোকানো হয়। ক্যামেরার সাহায্যে তখন পেটের ভিতরের ছবি মনিটরে দেখতে পান শল্যবিদ। প্রয়োজন মনে হলে এই সময় বায়োপ্সিও করে নেওয়া হয়।
পিয়োসাল্পিক্সের চিকিৎসা
সাধারণত, ফ্লোরিপিয়ান টিউব এবং সংক্রমণ দূর করার জন্য ডাক্তার মেরিজে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণ করে। যখন কোন পাইকারিতা নেই তখন এই যোসালপিনক্সের পুরানো ক্ষেত্রে সাধারণত ডাক্তারের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্জিক্যাল প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেয়।
-
লেপ্রোস্কোপিক সার্জারি
এটা মিনিমলি ইনভেসিভ সার্জারি। এটি আপনার প্রজনন অঙ্গগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বিনা ছড়ানো টিউব থেকে মবাদের বাইরে বেরতা হয়।
-
দ্বিপক্ষীয় সালপিঙ্গেক্টমি (দ্বিপাক্ষিক সালপিঙ্গেক্টমি)
এটি একটি পাইওসালপিনক্স চিকিত্সার জন্য উভয় ছড়িয়েপিয়ান টিউবকে অপসারণ করা অন্তর্ভুক্ত।
-
উফোরেক্টমি (ওফোরেক্টমি)
এটি শল্য চিকিৎসা কখনও-কভী দ্বিপক্ষীয় সাল্পেক্টোমীর সাথে ছিল এবং একটি শব্দ ব্যবহার করে উভয় অণ্ডাধ্যায়ের চিকিৎসাকে অপসারণ করা হয়।
-
হিস্টারেক্টমি
যদি উপযোগী চিকিৎসার পরেও সংক্রমণ তৈরি করা হয়, তাহলে কখনো-কভীর গর্ভাবস্থা এবং জরায়ু গ্রীবা দূর করার জন্য এই শৈল্য চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
লেপ্রোস্কোপিক সার্জারীকে ছেড়ে দাও সকল সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি আপনি ইনফার্টাইল তৈরি করতে পারেন এইনি পদে পদে আপনি জন্মগ্রহণ করতে পারবেন না। হালাঙ্কি, পরে অপারেশন করার সময় আপনার প্রজনন অঙ্গগুলিকে বের করা হয় না, তাই আপনার জন্মের সম্ভাবনাগুলি ভাল হয় না।
পাইসোসালপিনক্স এর প্রতিরোধ
প্রতিবন্ধকতা সবসময়ই ভালো বিকল্প হয়, তাই এটি নিশ্চিত করার জন্য আপনি যে পিওসালপিনক্স পিট করতে পারেন না এবং এর বিপরীত জটিলতা এবং নিঃসন্দেহে নিঃসন্দেহে হয় না, আপনার ছোট বয়স থেকেও কিছু সাধারণ এহেতিয়াতি সমাধান করা ভালো।
মনে রাখা, পাইওসালপিনক্স সাধারণত পিআইডি কে কারণ ছিল এবং পিআইডি এসটিআই কে কারণ ছিল। এসটিআই থেকে সুরক্ষার জন্য আপনাকে কনডোমকে সাহায্য করে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
উপরন্তু, আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত এবং হার বছর একবার এসটিআই করার জন্য করা উচিত। যদি আপনি ইতিবাচক পরীক্ষা করেন, তাহলে উদ্বেগ না করুন – সংক্রমণের প্রচার প্রচারের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করুন।
সঙ্গেও, আপনি একটি সুস্থ্য জোনি পিএইচ স্তর তৈরি করুন। আপনি সবজি এবং ফলন থেকে খাদ্য গ্রহণ করুন, যৌনতার পরে পেশ করতে পারবেন, আপনার যোনি কে সাবুন থেকে ধোঁয়া থেকে পরহেজ করতে পারবেন এবং জহরীলে রসায়নকে দূরে রাখতে পারবেন। সম্ভব।
পায়োসালপিঙ্কস্ ও সন্তানধারণ
সন্তানধারণে অক্ষমতার অন্যতম কারণ ফ্যালোপিয়ান টিউবে ব্লকেজ। সমীক্ষা বলছে সন্তানধারণে অক্ষম দম্পতিদের মধ্যে ২৫-৩৫ শতাংশ ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যায় ভোগেন। কারণ গর্ভধারণ প্রক্রিয়ার অনেকটাই এই টিউবের মধ্যে হয়। ডিম্বাশয় থেকে ডিম আসে ফ্যালোপিয়ান টিউবে এবং এখানেই সে শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হয়, ভ্রূণের সৃষ্টি হয় ও তারপর জরায়ুতে যায়। ফ্যালোপিয়ান টিউবে পুঁজ জমে বাধার সৃষ্টি হলে এককথায় পায়োসালপিঙ্কস-এর সমস্যা হলে এই প্রক্রিয়াগুলি ব্যাহত হয়। মহিলাদের শরীরে দু’টো ফ্যালোপিয়ান টিউব থাকে। এর মধ্যে একটি খোলা থাকলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে ৫০ শতাংশ। কিন্তু দু’টি টিউবই বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভধারণ কঠিন হয়ে যায়।
তখন ওষুধ দিয়ে বা ল্যাপারোস্কোপির সাহায্যে টিউবের ব্লকেজ দূর করতে পারলে ভাল। না হলে আইভিএফ-এর (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) সাহায্য নিতে হবে। কারণ ফ্যালোপিয়ান টিউবের কাজগুলি বাইপাস করে আইভিএফ পদ্ধতিতে ভ্রূণের সৃষ্টি ল্যাবরেটরিতেই সম্পন্ন করা হয়। যদিও গবেষণা বলছে পায়োসালপিঙ্কস্-এর চিকিৎসা করার পরে তবেই আইভিএফ শুরু করা উচিত। না হলে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজের সম্ভাবনা থাকে। এর কারণ সুনিশ্চিত ভাবে জানা না গেলেও মনে করা হয় টক্সিক পুঁজের খারাপ প্রভাব গিয়ে পড়ে ভ্রূণের উপরে এবং সেখান থেকেই গর্ভপাতের ঝুঁকি আসে।
পরিশেষে বলা যায়, মানবশরীরে প্রজননতন্ত্র যেমন জটিল তেমনই সূক্ষ্ম। তাই কোথাও কোনও সমস্যা মনে হলে চেপে না রেখে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার। দেরি হলে অনেকসময়ই সমস্যা গুরুতর আকার নেয়। পায়োসালপিঙ্কস্ যার অন্যতম বড় উদাহরণ। ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়ার মতো যৌনবাহিত রোগগুলোকে চেপে না রেখে সময়ে তার চিকিৎসা করিয়ে নিলে পায়োসালপিঙ্কস্ পর্যন্ত গড়ায় না সমস্যা। তলপেটে ব্যথা হলে বা যৌনসংসর্গে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ খেয়ে যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায় তা অকারণ ফেলে রাখলে পরবর্তীকালে অপারেশন টেবিলে শুতে হতে পারে, এমনকী সন্তানলাভের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই একদিকে যেমন এই নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে জনমনে, অন্য দিকে তেমনই নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে।
দাম
পাইসোসালপিনক্সের সংক্রমণের কারণ ফ্যালাপিয়ান টিউব-এ মবাদ তৈরি করা হয়। এই অবস্থার সাথে যৌনতার সময় ব্যথা, শ্রোণি অঞ্চলে ব্যথা এবং গাঁঠ, বুখার, ক্লান্তি ইত্যাদি ছিল।
এটি লক্ষণ বা যৌন সংক্রামিত সংক্রমণ (পিআইডি কা প্রধান কারণ) বা অন্যান্য ধরনের সংক্রমণ (এসটিআই থেকে পৃথক) কারণ হতে পারে।
এটি নিশ্চিত করার জন্য এটি লক্ষণ এবং বিগড়ে না – ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। এর জন্য আপনি বিরালা ফারটিলিটি অ্যান্ড আই.ভি.এফ এর বিশেষজ্ঞ থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন।
প্রধান ডাক্তার, ফারটিভিলিটি স্পেসলিস্ট্স এবং শীর্ষ প্রযুক্তির সাথে – বিরলা ফারটিলিটি অ্যান্ড আই.ভি.এফ ক্লিনিকের উদ্দেশ্য সেরা পরিষেবা এবং সেরা প্রজনন চিকিৎসা প্রদান করা। দর শেয়ার করছি।
পাইসোসালপিক্সের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের-সামনে পরামর্শ গ্রহণের জন্য, ড. স্বাতি মিশ্রের সাথে একটি আপটমেন্ট বুক করুন বা আপনার কাছের বিরালা ফারটিলিটি অ্যান্ড আই.ভি.এফ সেন্টারে যান।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
১) পায়োসালপিঙ্কস্ কী এসটিডি বা যৌনবাহিত রোগ?
যৌনবাহিত রোগে যে সংক্রমণ হয় ঠিক সময়ে তার চিকিৎসা না হলে ফ্যালোপিয়ান টিউবে পুঁজ জমে পায়োসালপিঙ্কস্ হতে পারে। তাই এটিকে যৌনবাহিত রোগের দীর্ঘমেয়াদী উপসর্গ বলা যেতে পারে।
২) পায়োসালপিঙ্কস্ নিরাময় কি সম্ভব?
এটা নির্ভর করছে ফ্যালোপিয়ান টিউবের অবস্থা কতটা গুরুতর তার উপরে। অধিকাংশ সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক্স নিলে সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু পুঁজ জমে ফোঁড়ার মতো উপবৃদ্ধি যদি খুব বেশি হয় তাহলে সার্জারি করতে হতে পারে। ল্যাপারোস্কোপিতে পুঁজ সরিয়ে ফেলা যায়। তাতেও কাজ না হলে অনেকসময ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে বাদ দিতে হয়। সংক্রমণ খুব বেশি ছড়িয়ে পড়লে ডিম্বাশয়, জরায়ু, জরায়ুমুখও কেটে বাদ দিতে হতে পারে।
৩) পায়োসালপিঙ্কস্ কি প্রতিরোধ করা যায়?
পায়োসালপিঙ্কস্ প্রতিরোধ করা যায় না, তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে পেলভিক ইনফেকশন বা পিআইডি হওয়ার ঝুঁকি কম করা যায়। যেমন যৌনসম্পর্কের সময় অবশ্যই কন্ডোম ব্যবহার করতে হবে। বহু যৌনসঙ্গী থাকলে ঝুঁকি বাড়ে পিআইডি-র। সেক্ষেত্রে ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়ার মতো যৌনবাহিত রোগগুলো রয়েছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। শুরুতেই জেনে নিলে সময়ের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক্স নেওয়া যায় তখন আর ফ্যালোপিয়ান টিউবের এতটা ক্ষতি হয় না। তাই কোনও কারণে এই ধরনের রোগ হয়েছে অনুমান হলে তা না লুকিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত। যোনির পিএইচ মাত্রা ঠিক থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যায়। এর জন্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। যোনিদেশ সাবান বা ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শে যেন না আসে।
৪) হাইড্রোসালপিঙ্কস্ কাকে বলে?
গ্রীক শব্দ হাইড্রো-র অর্থ জল আর সালপিঙ্কস্ মানে ভেঁপু বা শিঙ্গা। ফ্যালোপিয়ান টিউবে ফ্লুইড (পুঁজ বা রক্ত) জমে ব্লকেজ তৈরি হলে ভিতরটা দেখতে অনেকটা শিঙার মতো হয় বলে এই অবস্থাকে বলে হাইড্রোসালপিঙ্কস্। এটা দুই প্রকারের। রক্ত জমে বাধার সৃষ্টি হলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে হেমাটোসালপিঙ্কস্ আর পুঁজ জমে ব্লকেজ হলে তাকে বলে পায়োসালপিঙ্কস্।
৫) পায়োসালপিঙ্কস্ হলে কি সন্তানধারণ সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্ভব। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। পায়োসালপিঙ্কস্ নিরাময়ের চিকিৎসা আছে। তাছাড়া ফ্যালোপিয়ান টিউবে সমস্যার ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতি কার্যকরী।
৬) পায়োসালপিঙ্কস্ হলে ডিমের গুণগত মানে কি কোনও প্রভাব পড়ে?
পায়োসালপিঙ্কস্ ডিম্বাশয়ের ডিম উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে না। ফ্যালোপিয়ান টিউবে ডিমের আসা বা শুক্রাণুর সঙ্গে মিলনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, যে সংক্রমণের জন্য ফ্যালোপিয়ান টিউবে পুঁজ জমেছে, সেই সংক্রমণ ডিম্বাশয়েরও ক্ষতি করতে পারে ও এতে ডিমের পরিমাণ কমে যেতে পারে।