আই.ভি.এফ. (IVF) সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচ সম্পর্কিত কিছু কথা: সন্তানের জন্ম দিতে চাওয়া দম্পতিদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা

Author : Dr. Nidhi Gohil November 21 2024
Dr. Nidhi Gohil
Dr. Nidhi Gohil

MBBS, MS (Obstetrics & Gynaecology), Fellowship in IVF

5+Years of experience:
আই.ভি.এফ. (IVF) সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচ সম্পর্কিত কিছু কথা: সন্তানের জন্ম দিতে চাওয়া দম্পতিদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা

সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের প্রতিকূলতা থাকলে বর্তমানে অনেকেই আই.ভি.এফ. (IVF) বা ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনকে একটি উপযুক্ত বিকল্প হিসাবে গ্রহণ করছেন। এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি মনে উদয় হয়, তা হল “আই.ভি.এফ. পদ্ধতিতে কত খরচ হয়?” কারণ একথাটি অনস্বীকার্য যে ফার্টিলিটি সংক্রান্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খরচাপাতি সম্পর্কিত বিষয় অনেকের কাছেই মূল বিচার্য বিষয় হয়ে দেখা দেয়। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা সেইসব বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব যা আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচকে পরিবর্তন করতে পারে এবং তার পাশাপাশি সম্পর্কিত সমস্ত প্রকারের খরচের ব্যাপারে একটি আনুমানিক হিসাবও আপনাকে জানানো হবে।

সমস্যাটির ব্যাপারে সম্যক ধারণা লাভ করা

বিষয়টির গভীরে যাওয়ার আগে, এই বিষয়টি প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো যে ফার্টিলিটি সংক্রান্ত চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে অনেক বাধা-বিঘ্ন ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফার্টিলিটি সংক্রান্ত সমস্যা আমাদের যেমন একদিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে, অন্যদিকে আর্থিক খরচের দিকটিও এক্ষেত্রে বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখতে হয়। সন্তান পেতে ইচ্ছুক কোনও মধ্যম-আয়ের পরিবারের পক্ষে এই ধরনের চিকিৎসা আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। এখানে একথাটি সবার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনার মতো অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় রয়েছেন। অনেক দম্পতিই সফলতার সাথে আই.ভি.এফ. পদ্ধতিতে চিকিৎসা সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে গর্বিত পিতা-মাতা হিসাবে সন্তান প্রতিপালন করছেন।

যেসব বিষয় খরচকে প্রভাবিত করতে পারে

  1. ক্লিনিকের পরিচিতি ও বিশেষ দক্ষতার অধিকারী হওয়া: আপনার বেছে নেওয়া ফার্টিলিটি ক্লিনিকের বিশ্বস্ততা ও দক্ষতা আই.ভি.এফ. পদ্ধতিতে হওয়া খরচের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। স্বনামধন্য ক্লিনিকে যেহেতু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, স্বাভাবিকভাবেই তার চার্জ সাধারণ ক্লিনিকের তুলনায় অনেক বেশি হয়। এক্ষেত্রে সাফল্যের অনেক বেশি রেট ও আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারকে এর কারণ হিসাবে দেখানো হয়।
  2. ভৌগোলিক লোকেশন: আপনি কোন লোকেশনে রয়েছেন তার উপরেও আই.ভি.এফ.-এর খরচ বেশি না কম হবে তা নির্ভর করে। যেমন, মেট্রোপলিটান শহরে এই চিকিৎসার খরচ ছোট শহর বা গ্রাম্য এলাকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি হয়ে থাকে।
  3. রোগ শনাক্তকরণের পরীক্ষা: আই.ভি.এফ. পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করার আগে, উভয় পার্টনারকেই বিভিন্ন ধরনের রোগ বা তার উপসর্গ শনাক্তকরণ সংক্রান্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় যাতে দম্পতির মধ্যে দেখা দেওয়া বন্ধ্যাত্বের সমস্যার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। এইসব পরীক্ষার মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, হরমোনের মূল্যায়ন এবং জেনেটিক স্ক্রিনিং সংক্রান্ত পরীক্ষা পড়ে। আপনার লোকেশন ও নির্দিষ্ট প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে এইসব পরীক্ষার খরচও বিভিন্ন হতে পারে।
  4. ওষুধপত্র: ওষুধপত্র আই.ভি.এফ. চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তা অ্যাক্টিভ ডিম্বাণু তৈরি করা থেকে শুরু করে সেই ডিম্বাণু ইমপ্ল্যান্ট করার জন্য জরায়ুকে প্রস্তুত করা সবই পড়ে। এইসব ওষুধের খরচ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে প্রদত্ত ওষুধের প্রকার ও তার ডোজের উপর নির্ভর করে।
  5. পদ্ধতির জন্য হওয়া খরচ: আই.ভি.এফ. পদ্ধতির জন্য মূল খরচগুলির মধ্যে ডিম্বাণু পুনরুদ্ধার, শুক্রাণু সংগ্রহ, ল্যাবে ডিম্বাণুর নিষেক, ভ্রূণকে ট্রান্সফার করা এবং অন্য যেকোনও পরবর্তী সময়ে করা ফ্রজেন ভ্রূণ ট্রান্সফার বা FET বাবদ খরচ পড়ে। প্রক্রিয়াতে সাফল্য পাওয়ার জন্য কোনও কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই পর্যায়টিকে সাধারণ স্ট্যান্ডার্ডের চেয়ে বেশিবার করতে হতে পারে এবং তার ফলে সামগ্রিক খরচও কম-বেশি হয়ে থাকে।
  6. অতিরিক্ত পরিষেবা: কিছু কিছু ক্লিনিক ভ্রূণের জেনেটিক টেস্টিং বা ডিম্বাণু বা ভ্রূণের ক্রায়োপ্রিজার্ভেশনের মতো কিছু অতিরিক্ত পরিষেবাও প্রদান করে থাকে। এইসব পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত খরচ হয় সেকথা সত্য তবে এর ফলে ভবিষ্যতের পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি ও বিকল্প পাওয়া যেতে পারে।

আনুমানিক খরচ

ভারতে আই.ভি.এফ পদ্ধতিতে চিকিৎসার খরচ মোটামুটিভাবে ₹1,50,000 থেকে ₹3,50,000-এর মধ্যে বিচরণ করে। যদিও এক্ষেত্রে এটি মনে রাখা দরকার যে এটি একটি আনুমানিক হিসাব মাত্র, উপরোক্ত কারণগুলির উপরে নির্ভর করে প্রকৃত খরচ এর থেকে আলাদা হতে পারে। তাই আপনার বেছে নেওয়া ফার্টিলিটি ক্লিনিকে আপনাকে আগে থেকে আলাপ-আলোচনা করে নিতে হবে এবং তখনই আপনি নিজস্ব প্রয়োজন ও পরিস্থিতির উপরে ভিত্তি করে একটি কাস্টমাইজ করা হিসাব পেতে পারবেন।

আর্থিক সহায়তা ও বিমার কভারেজ

আই.ভি.এফ. পদ্ধতির চিকিৎসাতে যেহেতু খরচের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি হয়, তাই আপনার জন্য যেসব আর্থিক সহায়তার বিকল্প উপলভ্য আছে, সেগুলি এক্সপ্লোর করা প্রয়োজন। কিছু বিমার প্ল্যানে ফার্টিলিটি সংক্রান্ত চিকিৎসা কভার করা হয় তাই চিকিৎসা করানোর আগে আপনার বিমা পরিষেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে কোনও কভারেজ সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা তার ব্যাপারে আলোচনা করে নেওয়া দরকার।

এছাড়াও, অনেক ফার্টিলিটি ক্লিনিক বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক সহায়তার বিকল্প ও পেমেন্ট প্ল্যান অফার করে যাতে একসাথে পেমেন্ট করার কোনও সমস্যায় পড়তে হয় না। এই ধরনের প্রোগ্রামের ফলে আই.ভি.এফ. আরও অসংখ্য মানুষ অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হচ্ছেন যেখানে খরচ বাবদ অর্থ ছোট ছোট ইনস্টলমেন্টের আকারে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিশোধ করা সম্ভব হয়।

মানসিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয় খুঁজে দেখা

এই পদ্ধতি গ্রহণ করে যেসব পিতা-মাতা সন্তান গ্রহণ করতে আসেন, তাঁদের আগে থেকেই প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক দিক দিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। সেই কারণে এই সময় জুড়ে দম্পতিদের কিছুটা মানসিক সমর্থন ও পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। সেইসব পরামর্শদাতা বা কাউন্সেলিং গ্রুপের সাথে গিয়ে দেখা করুন যারা বিশেষ করে প্রজনন সম্পর্কিত মানসিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞ। এর মাধ্যমে আপনারা এই পর্যায়ে মানসিক দিক দিয়েও সর্বদা প্রস্তুত থাকতে পারবেন।

বিড়লা ফার্টিলিটি ও আই.ভি.এফ. সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের রায় নিন

বিড়লা ফার্টিলিটি ও আই.ভি.এফ. সেন্টারে, আপনার ফার্টিলিটি চিকিৎসা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের প্রকৃতি আমরা বুঝতে পারি। এই সমস্যার বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে সচেতন থেকেই আমাদের বিশেষজ্ঞদের টিম এই চিকিৎসার পুরো পর্যায় জুড়ে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ পরিচর্যা ও সহায়তা প্রদান করে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আই.ভি.এফ. (IVF), আই.ইউ.আই. (IUI), ফার্টিলিটি প্রিজার্ভেশন ও আরও অনেক বিষয়ের মতো বিস্তৃত রেঞ্জের ফার্টিলিটি চিকিৎসার সুবিধা অফার করি। আমাদের পরামর্শদাতার সাথে একটি মিটিং শিডিউল করে নিন যেখানে আপনি নিজের বিকল্পগুলি বিশদে আলোচনা করে আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে সহায়তা ও নির্দেশিকা পেতে পারবেন।

উপসংহার

আই.ভি.এফ. (IVF) পদ্ধতি অর্থাৎ ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন চিকিৎসা পদ্ধতিতে এখন অনেক দম্পতিই সন্তান লাভ করতে সমর্থ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমেই এই বিষয়টিই বেশির ভাগ মানুষ জিজ্ঞাসা করেন যে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোর জন্য মোটামুটিভাবে কত খরচ পড়ে। বেশ কিছু ফ্যাক্টরের বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলি চিকিৎসার খরচের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক এবং ক্লিনিকের লোকেশন অর্থাৎ গ্রাম ও মেট্রো শহরের উপর ভিত্তি করে খরচ কম-বেশি হয়। চিকিৎসার পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসা পুনরায় সম্পন্ন করারও প্রয়োজন হয়। মোটামুটিভাবে আই.ভি.এফ পদ্ধতিতে চিকিৎসার খরচ ₹1,50,000 থেকে ₹3,50,000-এর মধ্যেই থাকে তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে এটি একটি আনুমানিক হিসাব মাত্র, অনেক প্রাসঙ্গিক কারণের উপরে নির্ভর করে প্রকৃত খরচ এর থেকে আলাদা হতে পারে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন:

  • সাধারণভাবে আই.ভি.এফ. চিকিৎসা পদ্ধতিতে কত খরচ হবে?

বিভিন্ন কারণে আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। এর মধ্যে আপনি কোন ক্লিনিক বেছে নিচ্ছেন, তার ভৌগোলিক লোকেশন এবং অন্য যেকোনও প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের মতো বিষয় পড়ে। সাধারণভাবে ভারতে গড়ে আই.ভি.এফ.-এর একক বা সিঙ্গেল সাইকেলের জন্য ₹1,50,000 থেকে ₹3,50,000 খরচ পড়ে। তবে একথাটি মনে রাখতে হবে যে এটি শুধুমাত্র একটি আনুমানিক হিসাব, ব্যক্তিগত লেভেলে পরিস্থিতি অনুযায়ী চূড়ান্ত খরচ এর থেকে আলাদা হতে পারে।

  • আই.ভি.এফ.-এর খরচের মধ্যে কী কী পড়ে?

আই.ভি.এফ. চিকিৎসার খরচের মধ্যে বেশ কিছু উপাদানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হল, প্রাথমিক পরামর্শ ও পরীক্ষা, স্টিমুলেশন সংক্রান্ত পর্যায়ে আল্ট্রাসাউন্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মনিটরিং, ডিম্বাণু রিট্রিভ বা পুনরুদ্ধার, ভ্রূণের বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করে দেখা এবং তাকে ল্যাবরেটরিতে ডেভেলপ করা, ভ্রূণের ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া এবং নিয়মিতভাবে ফলো-আপ পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান। এছাড়াও, কিছু ক্লিনিক বেশ কিছু অতিরিক্ত পরিষেবাও প্রদান করে, যার মধ্যে পড়ে বিভিন্ন পর্যায়-ভিত্তিক কাউন্সেলিং বা জেনেটিক টেস্টিং। তবে তার জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হতে পারে। আপনার স্বাস্থ্য পরিচর্যা সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে আলোচনা করার সময় সম্পূর্ণ খরচের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে কী কী পরিষেবা ও সুবিধা রয়েছে তা আপনাকে স্পষ্টভাবে জেনে নিতে হবে।

  • আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার সাথে অন্য কোনও অতিরিক্ত খরচ সংযুক্ত থাকে?

আই.ভি.এফ. চিকিৎসার মূল খরচের মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত থাকলেও আরও কিছু অতিরিক্ত খরচকেও বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে। স্টিমুলেশন পর্যায়ে ডিম্বাণুর সৃজনের হারকে আরও বাড়াতে কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োগ করার দরকার হতে পারে, যা প্রতিটি পর্যায়ে ₹30,000 থেকে ₹60,000-এর রেঞ্জে হতে পারে। তাছাড়া, আই.ভি.এফ. প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কিছু প্রয়োজনীয় রোগ শনাক্তকারী পরীক্ষা বা অনুসন্ধান করার জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে। ফার্টিলিটি স্পেশালিস্টের সাথে যদি প্রথমেই সমস্ত সম্ভাব্য খরচের একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাবের বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যায়, তাহলে এই ব্যাপারে আপনার কাছে একটি স্পষ্ট ধারণা থাকবে।

  • বিমার কভারেজের সুবিধা কি আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত খরচের ক্ষেত্রে পাওয়া যায়?

দুর্ভাগ্যবশত, এখনও ভারতের বেশিরভাগ বিমার প্ল্যানেই আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ খরচকে কভার করা হয় না। তবে আপনার বিমা পরিষেবা প্রদানকারীর কাছে একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন, হয়তো তিনি ফার্টিলিটি সংক্রান্ত চিকিৎসার ব্যাপারে কোনও কভারেজের বিকল্প অথবা বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত চিকিৎসা কভার করে এমন কোনও নির্দিষ্ট প্ল্যান অফার করতে পারেন। কিছু কিছু কোম্পানির নিয়োগকর্তাও তাঁর কর্মচারীদের জন্য আই.ভি.এফ.-এর জন্য বিমার কভারেজের সুবিধা দেন। তাই আর্থিক সহায়তা লাভের সমস্ত সম্ভাব্য দিকগুলিকে একবার চেক করে দেখে নেওয়ার জন্য সাজেস্ট করা হয়।

  • আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য কি কোনও আর্থিক সহায়তা বা অন্য কোনও বিকল্প উপলভ্য আছে?

অনেক ক্লিনিকই আই.ভি.এফ. সংক্রান্ত চিকিৎসার খরচ ম্যানেজ করার ব্যাপারে সহায়তা করতে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্টের বিকল্প অফার করে। এইসব বিকল্পের মধ্যে নানা প্রকারের ইনস্টলমেন্ট প্ল্যান বা হেল্থকেয়ার লোন প্রদানকারী আর্থিক সংস্থার সাথে পার্টনারশিপের সুবিধা পড়ে। তবে চিকিৎসা শুরু করার আগেই, এইসব বিষয়ে খুঁটিয়ে জেনে নেওয়ার জন্য সাজেস্ট করা হয় যাতে আপনি সমস্ত বিষয়ের ব্যাপারে সম্যকভাবে অবহিত থাকতে পারেন।

Our Fertility Specialists