অ্যাডেনোমায়োসিস, লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

Author : Dr. Karishma Makhija October 24 2024
Dr. Karishma Makhija
Dr. Karishma Makhija

MBBS (Gold Medalist), DGO, DNB

5+Years of experience:
অ্যাডেনোমায়োসিস, লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা, অস্বস্তি কম-বেশি সকলেরই হয়। কিন্তু কারও কারও এই পেটে ব্যথা বা যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় যে তা সহ্যের মাত্রা ছাড়ায়। তলপেট থেকে শুরু করে কোমর, উরু, পিঠের নীচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হতে থাকে। এমন পরিস্থিতি হয় যে দৈনন্দিন কাজকর্ম করাও কঠিন হয়ে পড়ে, শুয়ে-বসে থাকতে হয়। বিভিন্ন কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল অ্যাডিনোমায়োসিস।  ৩৫-৫০ বছর বয়সী মহিলা, যাঁদের ইতিমধ্যে অন্তত একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে বা জরায়ুতে কোনও অস্ত্রোপচার হয়েছে, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে, অনেকসময় কমবয়সী মেয়েদেরও এই সমস্যা হয়।

অ্যাডিনোমায়োসিস কী

মেয়েদের প্রজননতন্ত্র বিশেষ করে জরায়ুর গঠন অত্যন্ত জটিল। ঋতুমতী হওয়ার পর হরমোনের প্রভাবে জরায়ু বা ইউটেরাসের গঠনে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে থাকে বলে বিষয়টা আরও জটিল হয়ে ওঠে। স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েদের সন্তানধারণের জন্য জরায়ুর ভিতরে এন্ডোমেট্রিয়াম নামে একটি স্তর বা লাইনিং তৈরি হয় প্রতি মাসে। নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা না হলে এই লাইনিং খসে যায় প্রকৃতির নিয়মে। তখনই শুরু হয় ঋতুস্রাব। জরায়ু থেকে এই লাইনিং ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে বলে ঋতুস্রাবের দু’তিন দিন আগে থেকে তলপেটে অল্পস্বল্প ব্যথা স্বাভাবিক। কোনও কারণে জরায়ুর ভিতরের এই লাইনিংয়ের পাশাপাশি জরায়ুর চারপাশে পেশীর স্তরে (মায়োমেট্রিয়াম) এন্ডোমেট্রিয়াল গ্রন্থি বা স্ট্রোমা তৈরি হলে যে জটিলতার সৃষ্টি হয় তাকে বলে অ্যাডিনোমায়োসিস। এর ফলে জরায়ুর আকার দুই গুণ থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ঋতুস্রাবের সময় হরমোনের প্রভাবে এই সব অস্বাভাবিক এন্ডোমেট্রিয়াল গ্রন্থিগুলিও ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসে বলে তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা ও প্রচুর রক্তপাত হয়। এছাড়াও ক্লটিং-এর সমস্যা হয়। অ্যাডিনোমায়োসিসে আক্রান্তদের অনেকের যৌনসংসর্গের সময় ব্যথা লাগে। সব মিলিয়ে জরায়ুর এই রোগটি জীবনে অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা টেনে আনে। ব্যথা বা অতিরিক্ত রক্তপাতের জন্য ওষুধ আছে। গরম জলে স্নান বা সেঁক নিলে আরাম মেলে। এছাড়া হরমোনাল চিকিৎসা রয়েছে। সমস্যা খুব বেশি হলে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করা যেতে পারে। তবে, মেনোপজের পর এই সমস্যা আপনা থেকে দূর হয়ে যায়।

অ্যাডিনোমায়োসিসের লক্ষ্মণ

অ্যাডিনোমায়োসিসের গভীরতা বা বিস্তারের ভিত্তিতে এই রোগের লক্ষ্মণ এক-এক জনের এক-এক রকম হয়।

১) আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৪০-৬০ শতাংশের ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত (মেনোরেহজিয়া) হয়। এর ফলে ক্লান্তি, ঝিমুনির পাশাপাশি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

২) অনেকের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। অর্থাৎ স্বাভাবিক ২৮-৩০ দিনের বদলে ঋতুস্রাব প্রায় ৩৫-৪০ দিন অন্তর কখনও বা তারও বেশি ব্যবধানে হয় এবং তখন অনেক বেশি রক্তপাত হতে থাকে।

৩) আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ মহিলা শ্রোণীদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ঋতুস্রাবের আগে তলপেটে খিঁচ ধরা ব্যাথা (ডিসমেনোরিয়া) হতে থাকে।

৪) অ্যাডিনোমায়োসিসে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের যৌনসংসর্গের সময় ব্যথা লাগে।

৫) এই রোগে জরায়ুর আকার অনেকটা বেড়ে যায় বলে তলপেট ভারী বা ফোলা লাগে অনেকের।

৬) জরায়ুর আকার বৃদ্ধির জন্য কেউ কেউ ব্লাডার বা মূত্রথলিতে চাপ অনুভব করেন।

৭) অ্যাডিনোমায়োসিস থেকে সন্তানধারণে অক্ষমতার সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাটি থাকলে জরায়ুর গায়ে সহজে নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না ভ্রূণ। ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে অকাল প্রসব বা সময়ের আগে প্রসব হয়ে যায়।

৮) অ্যাডিনোমায়োসিস যাদের রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই জরায়ুর অন্য সমস্যা দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৫০ শতাংশের ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড, ১১ শতাংশের এন্ডোমেট্রিওসিস, ৭ শতাংসের এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপ থাকে।

অ্যাডিনোমায়োসিসের কারণ

অ্যাডিনোমায়োসিস ঠিক কী কারণে হয় তা এখনও অজানা। মনে করা হয় জরায়ুতে কোনও আঘাত থেকেই এই বিপর্যয়ের সূচনা হয়, যেটা এন্ডোমেট্রিয়াম আর মায়োমেট্রিয়ামের মধ্যে বিভেদকে ভেঙে দেয়। সিজারিয়ান সেকশনের সাহায্য প্রসব বা গর্ভপাতের জন্য এইরকম সমস্যা হতে পারে। হরমোনের প্রভাব যেমন, লোকাল হাইপারইস্ট্রোজেনিজম, এস প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। অ্যাডিনোমায়োসিসের পিছনে জিনগত কারণকেও কিছু গবেষণায় দায়ী করা হয়েছে।

অ্যাডিনোমায়োসিস নির্ণয়

১) শ্রোণীদেশ পরীক্ষা (পেলভিক এক্সাম)- স্পর্শ করে সাধারণ পরীক্ষার সময়েই জরায়ুর আকার বেড়ে যাওয়া, নরম ভাব ও ব্যথা রয়েছে কি না বুঝতে পারেন চিকিৎসক। তখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাধারণত আলট্রাসাউন্ড করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২) আলট্রাসাউন্ড- শব্দতরঙ্গের সাহায্যে শ্রোণীদেশের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি পাওয়া যায় ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে। এই ছবি থেকে বোঝা যেতে পারে জরায়ুর দেওয়াল মোটা হয়ে গিয়েছে কি না। যেহেতু এতে কোনও রেডিয়েশন প্রয়োগ হয় না সেহেতু এই পদ্ধতি তুলনায় নিরাপদ আভ্যন্তরীণ প্রজনন অঙ্গের জন্য। মোটামুটি ভাবে ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসাউন্ডে অ্যাডিনোমায়োসিস আছে (৭৯ শতাংশ সেনসিটিভিটি) না নেই (৮৫ শতাংশ স্পেসিফিসিটি) তা নির্ণয় সম্ভব। অনেক সময়, অ্যাডিনোমায়োসিস ও ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডের পার্থক্য বোঝার ডন্য ডপলার আলট্রাসোনোগ্রাফির সাহায্য নেওয়া হয়।

৩) এমআরআই- এই প্রযুক্তির সাহায্যে তুলনায় আর একটু বেশি নিশ্চিত হওয়া যায় রোগটি সম্পর্কে। এক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ সেনসিটিভিটি (অ্যাডিনোমায়োসিস আছে) এবং ৯১ শতাংশ স্পেসিফিসিটি (অ্যাডিনোমায়োসিস নেই) পাওয়া যায়।

অ্যাডিনোমায়োসিসের চিকিৎসা

এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু বিস্তারের অন্যতম অনুঘটক ইস্ট্রোজেন। তাই মেনোপজের পর এই হরমোনের অনুপস্থিতিতে অ্যাডিনোমায়োসিস আপনা থেকেই সেরে যায়। তার আগে ঋতুমতী থাকাকালীন এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নীচের ব্যবস্থাগুলি নেওয়া যায়-

১) গরম জলে স্নান, গরম সেঁক, মাসাজ করে কিছুটা আরাম মেলে।

২) পেটের ব্যথা খুব বেশি হলে তা কম করার জন্য কিছু ওষুধ (এনএসএআইডি বা ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস) আছে।

৩) অস্বাভাবিক রক্তপাত নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু হরমোনাল ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। যেমন হরমোনাল ইনট্রাইউটেরাইন ডিভাইস বা আইইউডি ইত্যাদি।

৪) জন্ম নিরোধক বড়ি খেলে ঋতুস্রাবের ব্যথা কমে এবং রক্তপাতও কমে। এমনকী স্বল্পমেয়াদে অ্যাডিনোমায়োসিসের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে জন্মনিরোধক বড়ি।

৫) হরমোনাল নয় এমন ওষুধের মধ্যে ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড অতিরিক্ত রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।

৬) এসব কোনও কিছুতেই কাজ না হলে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে সার্জারির সাহায্য নিতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ধকলযুক্ত হল ইউএই বা ইউটেরাইন আর্টারি এমবলাইজেশন। এক্ষেত্রে জরায়ুর মূল দু’টি ধমনী (ইউটেরাইন আর্টারি) বন্ধ করে জরায়ুতে রক্ত সংবহন কমানো হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে অ্যাডিনোমায়োসিস বিকাশ ও বিস্তারে বাধা হয়। ৫৭-৭৫ শতাংশ মহিলা এই উপায়ে উপকৃত হন। তবে এর কিছু ঝামেলাও আছে। এটা করতে গিয়ে জরায়ুতে ইনফেকশন, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে। ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে।

৭) ল্যাপারোস্কোপ বা হিস্টেরোস্কোপের সাহায্যে জরায়ুর পেশী থেকে অ্যাডিনোমায়োমা অপসারণ করা যায়। এই অস্ত্রোপচার একটু জটিল এবং এর সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ। এই অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মায়োমেট্রিয়াম বা জরায়ুর পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে, অস্ত্রোপচার সফল হলে অতিরিক্ত ব্যথা ও রক্তপাত থেকে মুক্তি মেলে। এমনকী সন্তানধারণের অক্ষমতার সমস্যাও অনেকটা দূর করা যায়। এই অস্ত্রোপচারের পরে ৭৮ শতাংশ মহিলা সন্তানধারণে সক্ষম হন। যার মধ্যে ৬৯ শতাংশ সুস্থ সন্তানের জন্মও দেন।

৮) ভবিষ্যতে সন্তানধারণের পরিকল্পনা না থাকলে এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে এন্ডোমেট্রিয়াম অপসারণ বা এন্ডোমেট্রিয়াল লেয়ারকে ধ্বংস্ব করে অ্যাডিনোমায়োসিসের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে অগভীর বা অবিস্তৃত অ্যাডিনোমায়োসিসের ক্ষেত্রে শুধু এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। হাই এনার্জি রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, মাইক্রোওয়েভ এনার্জি থেকে শুরু করে থার্মাল বেলুন, গরম জল সঞ্চালন, ওয়্যার-লুপ রিসেকশন, লেজার, ইলেকট্রিক চার্জড রোলারবল-সহ বেশ কিছু উপায়ে এন্ডোমেট্রিয়ামকে বিনষ্ট করা হয়।

৯) পরিস্থিতি যদি খুব গুরুতর হয় তখন হিস্টেরেক্টোমি অর্থাৎ পুরো জরায়ুটাই বাদ দিতে হতে পারে। এটাই একাধারে প্রাথমিক ও সর্বশেষ উপায়। ভবিষ্যতে সন্তানধারণের কোনও পরিকল্পনা না থাকলে এবং অন্য কোনও উপায় কাজ না দিলে এটা করা হয়। মূলত ল্যাপারোস্কোপির সাহায্যে এটা করা হলেও রোবটিক্যালি বা ওপেন সার্জারি করেও অনেকসময় হিস্টেরেক্টোমি করা হয়।

এককথায় বলা যায়, অ্যাডিনোমায়োসিস হল এমন একটা স্ত্রী-রোগ যেটা ঋতুস্রাবের সময় জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। এর থেকে মুক্তি হোক বা স্বস্তি দিতে ভরসা সেই চিকিৎসা বিজ্ঞান। মাসের পর মাস ব্যথা-যন্ত্রণার পুনরাবৃত্তি এড়াতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া আশু প্রয়োজনীয়।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) অ্যাডিনোমায়োসিস থেকে কী ক্যানসার হতে পারে?

না, অ্যাডিনোমায়োসিস থেকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

২) অ্যাডিনোমায়োসিস কী সন্তানধারণের পথে বাধা সৃষ্টি করে?

হ্যাঁ, অ্যাডিনোমায়োসিস থাকলে সন্তানধারণে অক্ষমতার সমস্যা হতে পারে। তবে হরমোনাল থেরাপি করে বা অন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে সেই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণও করা যায়। অ্যাডিনোমায়োসিসের ক্ষেত্রে মূল সমস্যাটা হয় গর্ভাবস্থার একেবার শুরুতে ভ্রূণ নিজেকে জরায়ুর গায়ে প্রতিস্থাপিত করতে না পারায়। ফলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর অকাল প্রসব বা সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকিও থাকে।

৩) অ্যাডিনোমায়োসিস ও এন্ডোমেট্রিওসিসের মধ্যে পার্থক্য কী?

>দু’টি সমস্যাই এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু সংশ্লিষ্ট। এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ুর পেশীর গায়ে বিস্তার করলে সেটাকে বলে অ্যাডিনোমায়োসিস। আর এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ুর বাইরে গিয়ে ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে বা অন্যত্র বিস্তার করলে সেটাকে বলে এন্ডোমেট্রিওসিস। দু’টি সমস্যাতেই অন্যতম প্রধান উপসর্গ ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে অসহ্য ব্যথা। তবে অ্যাডিনোমায়োসিসের ক্ষেত্রে রক্তপাত বেশি হয়।

৪) কাদের অ্যাডিনোমায়োসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলা বিশেষ করে যাঁদের অন্তত একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে সি-সেকশনে বা জরায়ুতে অন্য কোনও সার্জারি হয়েছে (যেমন ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড অপসারণ) কিংবা এন্ডোমেট্রিওসিস রয়েছে, তাঁদের অ্যাডিনোমায়োসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

Our Fertility Specialists

Related Blogs