মেনোপজে সরবরাহ করার উপায়  

পঞ্চাশের দোরগোড়ায় এসে মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে? রাতের ঘুমের মধ্যে ঘামে ভিজে উঠছে শরীর? জরুরি কথা ঘোষণা করা যাচ্ছে আর এনার প্লাগইন না? এই লক্ষ্মের সাথে মাসিক ঋতুস্রবও যদি অনিয়মিত হয় বা আপনার কাছে আসে তাহলে আপনি মেনোপজের এগোচ্ছেন। 

মেনোপজ কাকে বলে?

মেনোপজ হল নারীদের জীবনচক্র এমন একটা সময়, যখন মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় চিরকালের মতো এবং সেই সঙ্গে সন্তানধারণ ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়। মোটামুটি ভাবে ৪৫ থেকে ৫৫-রঠায় স্বামীর মহিলা টানা এক বছর তার বেশি সময় ঋতুস্রব বন্ধ থাকলে ঋতুবন্ধ বা মেনোপজ বলা হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া। মেনোপজ তিনটে পর্যায় –পেমেনপোজ (আগে), মেনোপজ ও পোস্টমেনোপজ (পরে)। 

মেনোপজ কারণ?

• পুরানো- প্রত্যেক নারীই নির্দিষ্ট সংখ্যার ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। রজস্বলা প্রতি প্রতি আবেগে একটা ডিম ফোটে আর ঋতুস্রাবের সময় শরীর শরীর থেকে। এই কারণে বয়সের অনেকগুলো বাড়ে, প্যালিকে শরীরে ডিমের সংখ্যা ভালো আসে। এইভাবে ডিম কমতে কমতে এক সময় ডিম্বাশয় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়। যে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ কর এতদিন, তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় ডিম্বাশে। শেষ হয়ে যায় ঋতুস্রাব চক্র। পরিসংখ্যান পরামর্শ, ৮৫ শতাংশ মহিলা মেনোপজ হয় ৪৭-৫৪ বছরের মধ্যে। ৪০ বছর এবং মেনোপজ সংখ্যা সংখ্যাটা ২ শতাংশের মতো। আর ৪০-৪৫ বছরের মধ্যে মেনোপজ হয় ৫ শতাংশ মহিলার। ৫৫-৫৮ বছর মেনোপজ ম্যাচ হারও ৫ শতাংশ। মেনোপজার গড় পুরানো আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ৫১, রাশিয়ায় ৫০, গ্রীসে ৪৯, তুরস্ক, ইজিপ্টে ৪৭, ভারতে ৪৬। মেনোপজ লক্ষ্মণগুলো শুরু থেকে মেনোপজ হতে পারেমিমেনপোজদা মোটামুটি ভাবে ৩-৪ বছর ধরে ধরে। এলাকাবিশেষে এটা ৫-১৪ বছর পর্যন্ত বুঝতে পারে।

• প্রাইমারি ওভারিয়ান ইনসাফিশিয়েন্সি- অনেক সময় ৪০ এর ডিম্বাশয় নিষ্ক্রিয় হয়। তখন জিএস আগে মেনোপজ হয়, যাকে বলে প্রিম্যাচিওর মেনোপজ। কারণ এটা হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়েছে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস অস্বাভাবিকতা থেকে হতে পারে আবার কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনের প্রভাব হতে পারে বা জিনগত কারণেও হতে পারে। আইডেন্টিকাল টুইনস বা হুবহু যমজদের ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিওর মেনোপজের হার ৫ শতাংশ। প্রিম্যাচিওর মেনোপজে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে হারমোন থেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকেন চেষ্টা করার আগে ছাত্রদের আগে মেনোপজ হওয়ার কারণে

• সার্জ অনুমতি মেনোপজ- মানসিক শারীরিক জটিলতার কারণে মহিলার শরীর থেকে ডিম্বাশয় পাণ্ডাবাদ (উফোরেক্টোমি) তৎক্ষণাৎ মেনোপজ শুরু হয়। আর ঋতুস্রাব হয় না তখন। আচমকাহরমোন নিঃসরণ বন্ধ হওয়ার কারণে শারীরিক ও শক্তিশালী জোর ধাক্কা অংশ। হিস্টেরেমি অন্য জরায়ুক্টো পাল্টাপাল্টিবাদ কিন্তু সঙ্গে মেনোপজ হয় না। বার মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়েও ডিম্বাশয় ডিম নিঃসরণ করে এবং ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন শান্তিতে থাকে। তবে আমার মেনোপজের সময় এগিয়ে আসে।
     
• কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন- ক্যানসার চিকিৎসার জন্য মেনোপজ হতে পারে আগে। ডিম্বাশয়ে রেডিয়েশন চললে তার কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায় এবং মেনোপজ পায়। তবে, অন্য অংশে রেডিয়েশন চললে তার প্রভাব পড়ে না ঋতুবন্ধে।

মেনোপ লক্ষ্মণ

মেনোপজ ডাক্তার বেশ আগে শরীরকে দেয়, সেই সময় সামনে আসতে পারে। তবে, লক্ষ্মণগুলো সবাই এক হয় না। এক এক রকম এক রকম, নেটওয়ার্ক বেশি, কম। 

মোটামুটি ভাবে অনিয়মিত ঋতুস্রাব প্রথম প্রথম ও স্বাভাবিক লক্ষ্মণ বলা। কখনও এক দু'মাস বন্ধ থাকার পর আবার ঋতুস্রব শুরু হয়। দ্বিতীয় প্রধান উপর্গস হল হট ফ্ল্যাশ, যা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট স্থায়ী হতে পারে। সঙ্গে কাঁপুনি ও ঘাম দেয়। মেনোপ আগে-পরে প্রায় ৪-৫ বছর পর্যন্ত এটা করতে পারে। এছাড়াও মেনোপ সময় অনেকের ঘুমালে বা বারবার ঘুমাতে যায়। মন কখনও ভাল তো কখনও খারাপ, যাকে বলে মুড সুইং। অনেকের এই সময়সূচী হয়। মেটাবলিজম নিয়ম মেনে চলার জন্য এটা থাকে। এই সময় চুল কাটা হতে পারে, খসখসে শুকনো হয়। যোনিদেশে শুষ্কতা ও আক্রমণে আক্রমণের প্রবণতা বা। মেনোজপ অন্যান্য লক্ষ্মণ তালিকার মধ্যে রয়েছে গাঁটে ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বুক ধড়ফড় ভাব ইত্যাদি।

মেনোপ ক্ষতিকর প্রভাব

মেনোপজ স্বাগতিক শারীরবৃত্তিয় পদ্ধতির শরীরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। মেনোপ পর পর হারের ডেনসিটি কমতে দ্রুত হয়, যার ফলে অস্টিওপোরোসিস চায় বাড়ে। ইস্ট্রোজেন লেভেলকে ভালো হারর্টের রোগ বাড়ার কাছে থাকে। আমাদের সেনাবাহিনীনিদেশে যোদ্ধা ইদ্রতাক রাথা ও স্থায়ীতা ধরে রাখা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্ট্রোজন। শরীরে এই হরমোন কমতে শুরু করে যোনিদেশে আর্দ্রতা একটা শুষ্ক ভাব আসে। ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিযার নিয়ম মেনে চলতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রভাব বিস্তার করে। ফলে সংক্রমণ হয়। এছাড়াও মুথলির পেশিও হতে পারে বলে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। যোনি দেশের সমস্যায় যৌনজীবনের কারণে সমস্যা হয়।

ভীষন সংযোজন কেন্দ্র উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা হয় অনেক। ব্রেনে ব্রেনে রক্তপ্রবাহ বলতে গেলে স্ট্রেসেন লেভেল অ্যালবামের জন্য রোজ হট ফ্ল্যাশ করতে হবে।

যন্ত্র থাকার উপায়

মেনোপজ রোগীর চিকিৎসা না হয়, কারণ এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে মেনোপ কারণে যে সমস্যাগুলো শরীরে হয়, তা কমতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু চিকিৎসা ও উপায় আছে।

• হরমোন থেরাপি- মেনোজপ সময় ইস্ট্রোজেন মোন থেরাপি করে হরতাল পাওয়া যায়। ইউটেরাস ঠিক থাকলে এর সাথে প্রোজেস্টোজেন দেওয়া হয়। ইস্ট্রোজেন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। বেশি জিনিষের জন্য এই হরন নিলে কার্ডিভাসকুলার সংক্রান্ত রোগ বা স্তন ক্যানের বিপদের কম সময়ে ওবং কমার প্রয়োগে লাভ হয়। বিশেষ করে অনুষ্ঠান হট ফ্ল্যাশ সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য। এর সঙ্গে কাউন্সিলেস্টেরন থেরেপির যৌনজীবনে সূচী মেলে।

• অন্যান্য খবর-শারীরিক সমস্যার কারণে যাঁরা ইস্ট্রোজেন থেরাপি করতে না পারেন, হট ফ্ল্যাশ এড়াতে গাবাপেনটিন নিতে পারেন। ক্লোনিডাইন নিয়েও প্রযুক্তি পাওয়া যায়। তবে শর্তের সাথে পরামর্শ করা হবে না। আরও কম ব্যবস্থা অ্যান্টি ডিপ্রেশনের (সিলেকটিভ সেরোটোনিন রিআপ টেকনোলজি ইনহিবিয়ারস বা এসআরআইজ) নিগট হট ফ্লাশের সমস্যা এড়ানো যায়। আর হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ করতে অনেক কিছু রয়েছে। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিলে হাড়ের শক্তি বাড়ে।

• ইস্ট্রোজন ক্রিম- যোনিদেশের আর্দ্রতা ধরে রাখা ইস্ট্রোজেন থেকে ক্রিম, ট্যাবলেট বা রচিং এর মাধ্যমে লাগানো যায়। লুব্রিকান্ত বা ময়শ্চারেজারও ব্যবহার করে প্রযুক্তি মেলে।

• জীবনযাত্রা- হট ফ্ল্যাশের প্রভাব এড়াতে শরীরকে স্বাভাবিক রাখতে হবে। জল ঠান্ডা জল, জল পরিস্থিতি, জল পরিস্থিতি ইত্যাদি অভ্যাসগুলি দেয়। ক্যাফিন এবং মলদার খাবার কম ভালো। স্ট্রেস কমাতে হবে। মেঘপান, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে হট ফ্ল্যাশ বেশি হয়। ভালো ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার আর পর্যাপ্তে ঘুমের শরীরে। ভাল ফল মেলে। পেলভিক ফ্লোর পেশী শক্তিশালী করতে নির্দিষ্ট ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলি হল অভ্যাসের ব্যবস্থা মেলে।

• ফাইটোইস্ট্রোজেন- সোয়াবিন, ডাল, ফ্ল্যাক্সসিড, ও কিছু ফলপ্লেতে ফাইটোইস্ট্রোজেন পাওয়া যায়, যা মান মেনোপজার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে একটা মত আছে। যদিও এই তথ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখনও নেই। 

পরিশেষে বলা ভাল, মেনোপজ জীবনে শেষ নয়। অনুশীলন থেকে শুরু হয় জীবন নতুন এক অধ্যায়। স্বাধীকার বীরবৃত্তিয় এই প্রক্রিয়াটি নিজের হাতে তুলে ধরে সেই অধ্যায়টি সাধারণভাবে সমর্থন করার জন্য চাবিকাঠি কিন্তু হাতে নেয়।  

জ্ঞান জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

১) মেনোপজের সময় কী পরামর্শ ভাল?

মেনোজপ উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ডায়েট চাট। ইস্ট্রোজেন চিকিৎসা পদ্ধতির ফলে যে ক্ষতি হয় তা প্রতিরোধ করতে দুধজাতীয় খাবার, যেমন দুধ, দই, জরিমানা ভাল। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্য খাবার (সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্স সিডস, চিয়া সিডস) মান হট ফ্ল্যাশ কম হয়। বিভিন্ন শাকসব কোম্পানি বিশেষ করে ব্রোকোলি ও ফুলকপি ডায়েট চার্টে এই সময়। ফাইটোইস্ট্রোজেন শান্তি যেমন সোয়াবিন, বাদাম, আঙুর, বেরিজ, ফ্ল্যাক্স সিডস ইত্যাদি উন্নতমানের পদ্ধতি। আর পরে অবশ্য প্রোটিন যুক্ত আরও বেশি হবে। প্রসেসড ফুড, ভাত, পাস্তা, আলুর মতো রিফাইনড কার্বোহাইড্রেটস, অ্যালকোহল ও মশলাদার খাবার থেকে যতটা সম্ভব সম্ভব ভাল।

২) পুরুষদের কি মেনোপজ হয়?

শুধু মহিলারাই নন, পুরানো বয়সের সঙ্গে পুরুষদের শারীরিক ডাক্তারের ডাক্তারের সঙ্গে ক্ষরণ নেতা কমতে থাকে এবং একটা সময় পুরুষদেরও মেনোপজ আসে, যাকে চিকিৎসার পরিভাষা বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড। তবে মেনোপজ পরের ডিম্বাশ সম্পূর্ণভাবে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে তা না হয় অ্যান্ড্রোপেজারের৷ ভিন্নমাত্রা পছন্দসই নক্সাস্টেরন গঠন করা হয় শরীরে। তাই মেনোপজের পর মহিলারা মা না হতে পারে পুরুষদের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রোপোজের পরেও বাবার সামনে থাকে। যদিও শুক্রানুর মান তখন ভাল না মহিলার অনেক জটিলতা আসতে পারে।