সরোজী-র মাধ্যমে শিশু-সুখ

২০০২ সালে 'ফিলহাল'প্রাচীন একটি হিন্দি সিনেমা মুক্তির সফল, যেখানে সুস্মিতা 'সারোগেট' সেন ভূমিকায় ঘটনা। সেই সময় সারোগেসিসের সঙ্গে জলটা ছিল না আমজনতার। তাই মেঘনা গুলজার কেন্দ্র ও সঞ্জয় সুরী, তাব্বু, সুস্মিতা সেন, পশ সেন অভিনীত এই সিনেমাটি দর্শকরা একদিকে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়ে বক্স অফিসে সেভাবে 'হিট' হতে পারে। এর প্রায় কুড়ি বছর পর ২০২১ সালে ওটিটি প্ল্যাফর্মে এই একই বিষয়ের উপর নির্মিত হিন্দি সিনেমামিমি'কে অবশ্য 'অজানা-অচেনা' বিষয় বলে আমার পক্ষে নিশ্চিত করা হয়েছে। কারণ শাহরু-গৌরি খানের ছেলে আব্রাম থেকে জোনের যমজ হালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-নিক জোনা আরখরসন্তানের সুবাদে সারোগেসি শব্দটি নিজের পায়দিনে। 

সরোজী কাকে বলে?

সারোগেসির হল, অন্যের সন্তানকে ধারণ করে চলতে, কথায় গর্বের ভাড়া। সারোগে হল একটি ব্যবস্থা, যেখানে মিলিত মহিলা এমন একজন মহিলার অন্য নারী দম্পতির সন্তানধারণ করেন ও জন্ম দেন।

শারীরিক কারণের কারণে মহিলার গর্ভধারণ না করতে বা বারবার গর্ভধারণ করা হলে অন্য মহিলার সন্তান পালন করা যেতে পারে। এটা দু'ভাবে হয়-

১) জেসটেশানাল সারোগেট– গ্রুপ সারোগেট মি জরায়ুতে আইভিএফ (ইন-ভিট্রো ফার্টিলেশন) পদ্ধতিতে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। ভ্রূণর জন্য লবরেটরিতে যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ব্যবহার করা হয় তা হবু বাবা-মা'র হতে পারে বা অন্য দা কাছ থেকে সংগৃহীত হতে পারে। বায়োলজ একত্রিত মা না। স্টুডেন্টদের সাথে সরেজমিনে যোগাযোগ থাকে না। তিনি শুধুমাত্র জন্মদাত্রী মা (বার্থ মাদার)।

২) ট্র্যাডিশনাল সারোগেট– এই ক্ষেত্রে সন্তানের বড় হওয়া হবে, তাঁরই ডিম্বাণুতে ভ্রূক্ষেপ করা হবে। আইইউ (ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন) পদ্ধতিতে শুক্রারু (হবু বাবা হতে পারে বা দাতার থেকে সংগৃহীত হতে পারে) সারোগেট মিল গর্দাশয়ে ছোট করে গভর্ন শেষ হয়। এই পদ্ধতিতে গুরুত্ব কম এবং গভীর কম অংশে জেসটেনাল সারোগেসিশাই বেশি বেশি। কারণ, ডিশানাল পদ্ধতিতে গ্রোদাত্রী মা'র সাথে সন্তানের 'বায়োলজ সামাজিক সমস্যা' মা-ও কালে কালে সামাজিক সামাজিক, ও ভয়ভীতি দেখাতে হয় বলে পরবর্তীতে হয়।   

ভারতে সরোগেসি

'লহাল' বা 'মি', বর্তমান দু'টোফি ভিডিওটি অন্যভাবে হলে বানাতে হবে। কারণ, 'দ্য অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি অ্যান্ড্রয়েড সারোগেসি অ্যাক্টিক্ট, ২০২১' অনুযায়ী বর্ণনার স্বীকারোক্তির প্রতীক 'কমার্শিয়াল সাগেসি' ভারতে স্বাধীন হওয়া। নতুন এই আইনে শুধুমাত্র 'অলট্রুয়েস্টিক সারোগেসি' বা সেবার মনোভাব নিয়ে গর্ভে অন্যের মহিলাকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র সন্তান দম্পতির আত্মীয়কে সাগেট মাস্টিং দেওয়া হচ্ছে। 'ফিল' সিনেমায় বন্ধুর সন্তানকে যেভাবে গর্ভে ধরেন সুস্মিতা সেন, আজ আইনে তা অংশ। আর 'মিমি'র বিষয় কমর্শিয়াল সারোগেসি বর্তমান আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। যেখানে 'মিমিতে বলা হয়েছে, কোড টোপ পোস্ট সারোসিতে রাজি করানো বা মাঝ পথে অগোদাত্রী মাকে বিদেশি দম্পতির সামনে দাঁড় করানো অন্যায়-বিচারগুলো রুখ হবে না আইন নিয়ে আমার মন্ত্রক। সারোগেসিতে একই রকম আর্থিক লেনদেন জানাতে পরবর্তী করা হয়েছে। শুধুমাত্র গর্দাত্রীর চিকিৎসার মূল্য হবু বাবা-মা। অনিয়ম হলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পাঁচ জেলে হতে পারে। এক সর্বোচ্চ বেশি এই অনিয়ম করার জন্য বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। 

সারোগেসি কাদের জন্য?

অনেক সময় মহিলার ব্র্যান্ড ডিম্বাণুতে জরায়ুর কারণে কারণ গৌরধারণ সম্ভব না হয় বা বারবার গর্ভপাত হয়। আবার অনেক সময় পূর্বে জরায়ু বাদ (হিস্টেরোমির ক্ষেত্রে) ক্ষমতার কারণে গর্ভধারণ সম্ভবপর না। কখনও আবার গৌরবধারণের সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা গঠন (জেমন হার্টের সমস্যা) সন্তানধারণ না হয়। এই সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে অন্য মহিলার নিজের সন্তানকে পালন করা হয় সরোগেসির মাধ্যমে। আরও সমকামী দম্পতি (পুরুষ) ও সিঙ্গল পার্টিন্টরাও (পুরুষ) অন্য মহিলার ভাড়া নিয়ে সন্তানলাভ করতে পারেন। যেটি গেসির নিয়ে বাবা রূপে অভিনয় করতুষার, চিত্র সাহায্যকারী জোহররা। কিন্তু আফশোসের বিষয় হল, ভারতে এই ধরনের সুযোগ আর থাকছে না।

শুধুমাত্র গ্রুপের পর পাঁচ বছর নিয়োগ এমন দম্পতি (এদেশের নাগরিক হতে হবে) সারোগেসির সাহায্য নিতে সাহায্য করতে নতুন আইন। বিবাহিত দম্পতি ছাড়া অন্য কেউ, অন্য কেউ সমকামী বাভ ইন রিলেশনশিপে স্থায়ী যুগেরা এর সাহায্য নিতে পারবেন না। সিঙ্গল বাবা বা মিও সরোজির সুযোগ নিতে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সন্তানধারণে অক্ষমতা সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে সারোগেসি নিতে ইচ্ছুক দম্পতিকে। 

আবেদনকারী দম্পতির মধ্যে মহিলার বয়স ২৩-৫০ এবং পুরুষের বয়স ২৬-৫৫ বছর হতে হবে। দম্পতির মহিলা থাকলে সারোগেসির সাহায্য নেওয়া যাবে না। সেই মহিলা যদি প্রথম পার্টনার হয় বা দত্তক নেওয়া হয়, তা পরীক্ষা করা হবে না। 

সারগেট মা কে হতে পারে?

নতুন আইনে সারোগেট মা বা গর্ভদাত্রী কে হতে পারে তা নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। প্রথমত, দম্পতির নিকটতমিয়া ছাড়া কেউ সারোগেট মা হতে পারবে না। গর্ভদাত্রী সন্তানধারী উপযুক্ত কি না তার শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। একই পক্ষের একটি সন্তানের সন্তান হবে সারোগেট ভিডিও। প্রেম একবারই সারোগেট মাওয়া যাবে, তার বেশি নয়। 

পশ্চিমবঙ্গে সরোজী নির্দেশিকা

২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সরোগেসি নিয়ে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শর্তগুলিই জারি করছে। এই রাজ্যে নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান বোর্ডধারণে অশংসাপত্র জেলা স্তরের স্তরের (সারোগেসি বিষয়) মেড দক্ষতার কাছ থেকে নিতে হবে। প্যাকেজ পারপারের জন্য রাজ্যের স্তরের 'সারোগেসি অ্যাপ্রেপ্রেপ্রেত অথরিটি'। সারোগেট' মাকেও 'ফিট সার্টিফিকেট' জমা দিতে হবে। তাঁর তিন বছর স্বাস্থ্যবিমার দ্বৈতব নিতে হবে গর্ভ ভাড়ায় ইচ্ছুক দম্পতিকে।

সরোজী পদ্ধতি

১) সন্তানধারণে অক্ষমতা শংসাপত্র জোগাড় ও সারোগেসির আবেদন।

২) সারোগেট মা খোঁজার পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা। সিফিলিস, গনোরিয়া, এইচআইভি, হেপাটাইস বি, সি-র মতো রোগগুলি রয়েছে কি না এবং রুবেলা, চিকেন পক্সের মতো রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে পরীক্ষা নেওয়া। অনেক জায়গায় সরোগেট মিল 'মেটাল কাউন্সেলিং' করা হয়।   

৩) সমাধানের কাজ সেরে ফেলতে হবে। সারোগেসি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে আবেদনের অনুমোদন ও শর্তাবলী রাখা হচ্ছে নতুন আইন। সন্তানধারণ করা বা জন্মের পরে-মা দু'জনে মারা বাবা বা বিবাহবিচ্ছেদ হলে সন্তানের দায়িত্ব নেবে, তা জানাতে হচ্ছে। মারো এবং সারোগেট ভিডিও ভিডিও রেকর্ডের জন্মের পর ২৫ বছর পর্যন্ত যেতে হবে। অধিকার সহ সকলের অধিকার যাতে সন্তান পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। 

৪) জেসটেশানালের ক্ষেত্রে আইভিএফ ও ট্র্যাডিশনাল সারোগেসিতে আইআইউ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ শেষ করার পর গ্রাবস্থার চিকিৎসার ধাপে ধাপে।

৫) সন্তানের জন্মের পর 'লিগাল কাস্টোডি' এর দম্পতি।

সরোজেসির মূল্য

সহায়ক গর্ভধান বিশেষ করে আইভিএফ পদ্ধতিতে সত্য সারোগেসি করা হয়। তাই আইভিএফ-এ যেমন মূল্য হয়, মনে হবে। আইইউআই পদ্ধতিতে মূল্য কম। চিকিৎসার মূল্য স্বাস্থ্যবিমা এবং গুরুত্বপূর্ণ মূল্য আছে।  

আগে এই খরচাগুলো মূল্য নেওয়ার জন্য (কমার্শিয়া সারোগেসি) গ্রেপদাত্রী, এজেন্টদের টাকা দিতে হবে। পার্টির দল ছিল না। সাধারণভাবে ৫-৬ লক্ষ টাকা নিতে গর্ভদাত্রীরা। অতিরিক্ত কমিশন বাবদ মোটা টাকা নিত এজেন্টরা। সব জন্য ১০ থেকে ৩৫ লক্ষ মূল্য পর্যন্ত। কিন্তু নয় আইনে কমর্শিয়াল সারোগেসি বন্ধ। শুধুমাত্র চিকিৎসা ছাড়া অন্য খাতে খরচ করতে না দম্পতি। গর্ভদাত্রী বা তাঁর এজেন্ট। তবে, আইনের গলগলে এখনও কমার্শিয়াল সারোগেসি আলোচনা এদেশে। আত্মীয় সেজে সারোগেট মাঠ পদ্ধতি বার হয়েছে। 'বজ্র আঁটুনিতে ফস্কা গেরো'র জেরে খরচা আরও বিস্তার করেছে।

ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) সারোগেট মা কী ভাবে সারবতী হন?

সাধারণ সারোগেট মিউ জরায়ুতে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করে গভর্নমেন্ট করা হয়। আইভিএফ পদ্ধতি হবু বাবা-মায়ের শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর (ডোনার এগ বা ডোনার স্পার্মও হতে পারে) তারপর তাথিটার সাহায্যে গ্রেদাত্রীর জরায়তে প্রতিস্থাপন করা হয়। আবার আইআইউ পদ্ধতিতে সারোগেট মিউ গ্র্যাশয়ে শুক্রাণু (হবু বাবা হতে পারে বাতার থেকে সংগৃহীত হতে পারে) 

২) সরোগে সমস্যা সমাধানগুলি কী কী?

সরোগেসির মহানন্দটি হল, এরঃসন্তানরা সন্তানলাভের সুখ পেতে পারেন। কিন্তু এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। প্রথম, আইভিএফ বা সহায়ক গর্ভাধান পদ্ধতি প্রক্রিয়াটি শেষ করে বলে চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক আবেদন রয়েছে। যমজ বা সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে থাকে। মিসক্যারেজ বা গর্ভপাতের মতো অঘটনও হতে পারে, সেক্ষেত্রে শারীরিক, মানসিক ধকল অনেক বেশি। দ্বিতীয় এই পুরো প্রক্রিয়া বেশ সময়, গর্ভদাত্রী জোগাড় থেকে শুরু করে আবেদন করা মিলি পাওয়া, ক্লিনিক খোঁজা ইত্যাদি আট-ন'মাস শুরু করা যায়। তারপর গর্ভধারণ ও প্রসবের সময়। আরও জটিলতা সামলানো ও টানাপোড়েন জয় করার মতো মনের জোর প্রয়োজন।