অ্যামেনোরিয়ার কারণ, এবং চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করুন
- প্রকাশিত সেপ্টেম্বর 13, 2023
সুচিপত্র
অ্যামেনোরিয়া ও তার চিকিৎসা
নারী নারী প্রজননতন্ত্র অত্যন্ত গভীর। গ্রুপধার জন্য প্রতি মাসে একবার করে সে। আবার গর্ভে ভ্রুক্ষেপ করা না হলে নিয়ম করে চুরে দেয় সাজানো বাসা। সংবাদ ঋতুস্রাব। কারণ এই ঋতুস্রাব শুরু না বা শুরু হওয়া থমকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে অ্যানোরিয়া। কারণ এটা হতে পারে এবং সেগুলি হতে পারে গড়িমসি করে সমস্যা জিইয়ে রাখলে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই ঋতুচক্রে নিয়ম অনিয়ম হলে দ্রুত দ্বারস্থিতা বুদ্ধিটা বুদ্ধি ভালো কাজ।
অ্যামেনোরিয়া কী
এক কথায়, অ্যামেনোরিয়া মন ঋতুবন্ধ বা মাসিক ঋতুস্রাব নাভি। রজঃস্বলা লক্ষ্যের পরে প্রতি ঋতুচক্রে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম নিঃসৃত হয় ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জরায়ু। ডিমটি নিষিক্ত না হলে জরায়ু থেকে এন্ডোমেট্রিয়াল লাইনিংগুলি ঝরে যায় ঋতুস্রাবের মাধ্যমে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ধরনের হরমোন। সাধারণত স্টিমস্কের হাইপোথ্যালামাস থেকে নিঃসৃত গোনাত্রোপিন রিলিজিং হরমোন পিটুইটারি গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে ফলিক স্টিমুলেটিং হরমোন (এফএসএইচ) ও লুটেনেজিং হরমোন (এলএইচ) নিঃসরতার জন্য। এই দু'টি হরণ আবার ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নিঃসরনে উদ্দীপিত করে, যা ঋতুস্রাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোল্যাকটিন এলএইচ ও এফএইচ হরমোনকে এস পারোক্ষে ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে। একইভাবে থাইরয়েড হরমন টিএসএইচ ও প্রোল্যাকটিনের ক্ষারকে পরোক্ষে ঋতুস্রাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতগুলো হরমোনের কাটাকুটি খেলার বিপরীত গোলমাল হলেই ভার্সাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যার পরিণতি ঋতুবন্ধ বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
অ্যামেনোরিয়ার প্রকারভেদ
অ্যামেনোরিয়া দু'ধরনের-প্রাইমারি ও সেকেন্ডার।
১) ১৬ জুলাইও কেউ ঋতুমতী না হলে বা ঋতুস্রাব শুরু না হলে তাকে প্রাইমারি অ্যামেনোরিয়া। এটা সাধারণত জন্মগত ত্রুটি। ক্রোমোজোমাল ও জিনগত সুস্থির জেরে প্রজন অঙ্গ ঠিক মত না উঠলে এমনটা হয়। তবে অনেক সময় পরবর্তীকালেও নীতিগততা থেকে প্রজননতন্ত্রের ত্রুটি হতে পারে।
২) ঋতুমতী মহিলার টানা তিন মাস বা তার বেশি সময় ঋতুস্রব বন্ধ থাকলে তাকে সেকেন্ডার অ্যামেনোরিয়া বলে। এটাও কারণ হতে পারে। মেনোপজ সন্তান বাকে বুকের ডাক্তার ডাক্তারের কাছ থেকে হতে পারে আবার স্ট্রেস বা একই রকম সমস্যা থেকেও হতে পারে।
অ্যামেনোরিয়ার কারণ
ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া বা শুরু না হতে পারে। এর মধ্যে কিছু স্বাগতিক শারীরবৃত্তিয় পরিবর্তনের কারণে, কিছু আবার অনুরোধ জানাতে অনুরোধ জানান উপসার হিসেবে শরীরকে দেয়।
প্রাইমারি অ্যামেনোরিয়ার কারণ-
১) অনেক সময় ভ্রূ উন্নয়ন বিকাশের সময়কালবশত প্রজননতন্ত্রের বিকাশ অসম্পূর্ণ থাকে বা ঠিক তো প্রজননঙ্গ গঠিত হয় না। যেমন, এম আর কে সিনড্রোমে যোদ্ধা জরায়ু ও (আংশিক) অনুপস্থিত থাকে। ফলে মাসিক ঋতুস্রাব না হয় এবং স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করা সম্ভব নয়।
২) আশারমান সিনড্রোম হল এমন একটা অবস্থা (জন্মগত নয়) যেখানে জরায়ুতে ক্ষত সম্পর্ক জন্মাতে থাকে। অস্ত্রোপচার বা কারণে জরায়ুতে দেখে এমনটা হয়। এই ক্ষত স্বামী এন্ড্রোমেট্রিয়াল লাইনিং তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত পড়ে বা বন্ধ থাকে।
৩) ক্রোমোজোমাল বা জিনগত ত্রুটির ফলে অনেক সময় প্রজননতন্ত্র ঠিকভাবে গঠিত হয় না। যেমন, টার্নার সিনড্রোমে (৪৫ এক্স বা ৪৫ এক্সজিরো) মাসিক ঋতুস্রব না বা শুরু হতে পারে। এটি জন্মগত ত্রুটি।
সেকেন্ডারি অ্যামেনোরিয়ার কারণ-
১) প্রাণে প্রাণের সঞ্চার হলে প্রকৃতির নিয়মে আপ থেকে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
২) সন্তানকে বুকের ডাক্তার ডাক্তারের সময় (ল্যাকটেশন) ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। এটা আদর্শ প্রোল্যাকটিনের বৃদ্ধি এবং লুটেনজেসিং হরমোন-এর হর অনুশীলন করার জন্য, যা ডিম্বাশয় নারী মোনের ক্ষরণ কমায়।
৩) মেনোপজের আগে ও মেনোপজ সময় পরিবর্তন করতে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয় এবং এর মধ্যে বন্ধ থাকে। মেনোপজ পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
৪) জন্ম নিরোধক বড়ি নিয়ম অনেকের ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে। এমন কী নিয়ে বন্ধ করেও ঋতুস্রাব ঠিকভাবে শুরু হতে পারে কিছু মাস। জন্মনিরোধক অন্যান্য পদ্ধতিও অ্যামেনোরিয়ার কারণ হতে পারে।
৫) কিছু ঋতুর বিপরীত প্রতিক্রিয়া হিসাবে বন্ধ থাকে। যেমন, ক্যান বিরোধে কেমোথেরাপি, রক্তচাপ নিরোধক সমস্যা, মানসিক অবসারের যুদ্ধ বা অ্যান্টিডিপ্রেশান্তস, অ্যালার্জি প্রতিরোধ।
৬) অনেকটাই কম হলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে। বিশেষ করে ইটিং ডিজঅর্ডার থাকলে (অ্যায়নেক্সিয়া, বুলিমিয়া) হরমোনের তারতম্যের কারণে এমনটা হতে পারে।
৭) খুব বেশি শারীরিক অনুশীলনও ঋতুস্রাবে বাধা পড়ে।
৮) দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস মস্তিস্কের হাইপোথ্যালামের কার্যকারিতাকে এক করা শরীরে হরমোনের ভার্সাম্য নষ্ট হয়। যা থেকে ওভুলেশন বা ডিম ফোটা এবং ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৯) থাইরয়েডের অস্বাভাবিক ক্ষরণ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস, পিটুরি টিউমার ইকরি শারীরিক বাধ্যতার জেরে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের পরিবর্তন হলে তা থেকে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে।
১০) জরায়ুতে টিউমার হলে ঋতুস্রব বন্ধ হতে পারে।
১১) অতিরিক্ত মেদ ওবেসিটি থেকে যে শারীরিক সমস্যাগুলি হয় তা ঋতুস্রাবে বাধা দিতে পারে।
১২) ক্রনিক রোগ যেমন কিডনির সমস্যা, ইনফ্লেমেটের বাওল ডিজিজ ইত্যাদি কারণে ঋতুস্রব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৩) অনেক সময় টিস্যু দিয়ে তৈরি পাতলা দেওয়াল যোনিদেশকে দু'ভাগে বিভক্ত করে (ভ্যাজাইনাল সেপটম), যা ঋতুরবের সময় রক্তপাতে বাধা দেয়। এটি একটি জন্মগত ত্রুটি।
অ্যামেনোরিয়ার লক্ষ্মণ
কারণ কারণ লক্ষ্মণ হতে পারে-
১) স্তনবৃন্ত থেকে দুধের মতো সাদা রস ক্ষরণ।
২) মাথা ব্যথা।
৩) চুল পড়া।
৪) দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন।
৫) অস্বাভাবিক হারে ও শরীরে লোম।
৬) সহজ ব্রণ।
৭) যোনিদেশে শুষ্কতা।
৮) শ্রোণিদেশে ব্যথা।
৯) হট ফ্লাশ।
১০) গাটার (বর্ধিত থাইরয়েড গ্ল্যান্ড)।
অ্যামেনোরিয়া নির্ণয়
ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম গড়িমসি না করে ব্যাখ্যার বাধারস্থ হওয়া উচিত। ভিডিও ওয়ার্ডই মেড নেটওয়ার্ক হিস্ট্রি জানতে চাইবেন এবং সেই সাথে পেলভিক এক্সাম করে মুসলিম নেবেন বাহ্যিক গঠন বা সমস্যা আছে কি না। সাধারন শক্তি প্রগন্যান্স কাউন্সিল করতে দিতে পারেন। হরমোনের ভার্সাম্য জানানোর জন্য কিছু রক্ত পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। ৪০-এর আগে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে শুরু করলে দেখা যেতে পারে প্রাইমারি ওভারিয়ান ইনসাফিশিয়েন্সি এগিয়ে। ঋতুবন্ধের সাথে আরও উপসর্গে পিটুরি গ্ল্যান্ডে সমস্যা আছে মনে হলে কিছু এমআরআই বলতে বলতে পারেন। ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে সমস্যা হচ্ছে
অ্যামেনোরিয়ার চিকিৎসা
১) ল্যাকটেশন বা মেনোপজ বা গর্বধারণার কারণে ঋদ্ধ হওয়া আমার তা সারতু চাই না। সেক্ষেত্রে অন্য চিকিৎসা করা। ২) ক্ষেত্রবিশেষে অ্যামেনোরিয়া সারানোর জন্য সার্জারির (ডিম্বাশে সিস্ট, পিটুইটারি টিউমার, জরায়ুর ক্ষতকোষ অপসারণ ইত্যাদি) সাহায্য নিতে হয়। ভ্যাজাইনাল সেপটম, ইমপারেট হাইমেনের মতো যোনির গঠন ত্রুটি সার্জারি ঠিক করা যায়।
৩) কমতে বা অন্যান্য সমস্যা দূর করতে কাউন্সেলিং উপায়। ইটিং ডিজঅর্জার ঠিক করতে কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
৪) আপনি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ডায়েট চার্টগুলিকে বোঝাতে হবে।
৫) অস্টিওপোরোসিমের বিপদ কমাতে ক্যালশ ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরিস্থিতিও নিয়মিত হয়।
৬) হরমোনের তারতম্য থেকে ঋতুবন্ধের সমস্যা হলে হরমোনাল থেরাপি শুরু করা হয়।
সবশেষে বলা হয় হরমোনের চিকিৎসা মূলেই চিকিৎসা। যেখানে সেখানেই হরে না কেন সমস্যাফিরে সেই মোনে এসেছে ইন্সটয়। শরীরে হরমোনের ব্যবস্থা করার জন্য স্বাভাবিকের ও চিকিৎসা করার পদ্ধতি রয়েছে। আমরা সাধারণ জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যকর খাবার, শরীরচর্চার অভ্যাস ভারসাম্য হরমোনের সাহায্য করে।
ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা
১) অ্যামেনোরিয়া থেকে কী শারীরিক জটিলতা হতে পারে?
ঋতুস্রাবের মতো না হলে বা অনিয়মিত হলে ঠিক না হলে সবার আগে সমস্যাটি হতে পারে তা হল সন্তানধারণে অক্ষমতা। শ্রোণীদেশে ব্যথা হয়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব ও ঋতুবন্ধ থেকে দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস হয়, যেখানে থেকে আরও অনেক সমস্যা বাসা বাধে। সাধারণ ইস্ট্রোজেন অভাবে অস্টিওপোরোসিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ হতে পারে।
২) অ্যাথলেটিক অ্যামেনোরিয়া কাকে বলে?
প্রলম্বিত বা অতিরিক্ত শারীরিক অনুশীলনের ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের তারতম্য হলে ঋতুস্রাবের উপরে তার প্রভাব পড়ে এবং ঋতুবন্ধ হতে পারে। মনে অনুশীলন অনুশীলন কমিয়ে ক্যালোরি ইনটেক বাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩) অ্যামোরিয়ার বিপদ কমতে কী আপনার কাছে থাকতে হবে?
প্রসেসড খাবার থেকে রাস্তার পাশে থাকবে এবং স্বাস্থ্যকরতে হবে। ক্যাফিন ও অ্যালকোহল এ দেখা ভাল। হোল গ্রেন খাবার, শাকসব অ্যাপ, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শান্তি খাবার, বাদাম, বীজ, মাছের কাঁটা ডায়েটে থাকে। ডায়েটে ফ্যাট খুব কম হওয়া অ্যামেনোরিয়ার বিপদ থাকে। ভিটামিন বি-এক্স প্রোল্যাকটিনের কমতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কোহোশ, লেডিস ম্যান্টেলের মতো কিছু হার্ব রয়েছে, যে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদিও এগুলি বাস্তবে কতটা কার্যকরী তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
সম্পর্কিত পোস্ট
লিখেছেন:
ডঃ স্বাতী মিশ্র
পরামর্শক
ডাঃ স্বাতী মিশ্র একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষিত প্রসূতি-স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রজনন ওষুধ বিশেষজ্ঞ। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় ক্ষেত্রেই তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তাকে IVF ক্ষেত্রে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান দিয়েছে। ল্যাপারোস্কোপিক, হিস্টেরোস্কোপিক, এবং অস্ত্রোপচারের উর্বরতা পদ্ধতির সকল প্রকারের বিশেষজ্ঞ যার মধ্যে রয়েছে IVF, IUI, প্রজনন মেডিসিন এবং পুনরাবৃত্ত IVF এবং IUI ব্যর্থতা।
18 বছরের বেশি অভিজ্ঞতা
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
আমাদের সেবাসমূহ
প্রজনন চিকিৎসা
উর্বরতার সমস্যাগুলি মানসিক এবং চিকিৎসাগতভাবে উভয়ই চ্যালেঞ্জিং। বিড়লা ফার্টিলিটি এবং আইভিএফ-এ, আমরা অভিভাবক হওয়ার পথে আপনার যাত্রার প্রতিটি ধাপে আপনাকে সহায়ক, ব্যক্তিগতকৃত যত্ন প্রদানের উপর ফোকাস করি।পুরুষ বন্ধ্যাত্বতা
পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্ব সমস্ত বন্ধ্যাত্ব ক্ষেত্রে প্রায় 40%-50% জন্য দায়ী। শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমে যাওয়া জেনেটিক, জীবনধারা, চিকিৎসা বা পরিবেশগত কারণের ফল হতে পারে। সৌভাগ্যবশত, পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্বের বেশিরভাগ কারণ সহজেই নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা যেতে পারে।আমরা পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্ব বা যৌন কর্মহীনতা সহ দম্পতিদের জন্য শুক্রাণু পুনরুদ্ধার পদ্ধতি এবং চিকিত্সার একটি বিস্তৃত পরিসর অফার করি।