অ্যাডেনোমায়োস, প্রভাব, কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথা, অস্বস্তি কম-বেশি সকলেরই হয়। কিন্তু ব্যবস্থা এই ব্যবস্থা এই ব্যবস্থা পেটে ব্যথা বা এতটাই শক্তিশালী হয় যে সহ্যের শক্তি। তলপেট থেকে শুরু করে কোমর, উরু, পিঠের দিকের দিকে ব্যথা অনুভব হয়। সাধারণের স্বাভাবিক বেশি রক্তপাত হতে থাকে। এমন পরিস্থিতি যাতে পড়ে কাজকর্ম করাও কঠিন হয়, শুয়ে-বসে হয়। বিভিন্ন কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। যার মধ্যে একটি কারণ হল অ্যাডিনোমায়োসিস। ৩৫-৫০ বছর বয়সী মহিলা, যাঁদের মধ্যে একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে বা জরায়ুতে বড় হয়েছে, এই রোগে সমস্যায় বড় বেশি। তবে, অনেক কমবয়সী নারীও এই সমস্যা হয়।

অ্যাডিনোমায়োসিস কী

জার্মান প্রজননতন্ত্র বিশেষ করে জরায়ুর গঠন অত্যন্ত জটিল। ঋতুমতী অবস্থান পর হরমোনের প্রভাবে জরায় বা ইউটেরাসের গঠনে বিষয়টা পরিবর্তন করতে হয়। স্বাভাবিক নিয়মে মহিলাধারী করার জন্য জরায়ুর ভিতরে এন্ডোমেট্রিয়ামের একটি কোল বালাইন হয়। নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা না হলে এই লাইনিং খসে যায় প্রকৃতির নিয়মে। তখনই শুরু হয় ঋতুস্রাব। জরায় থেকে এই লাইনিং ছিঁড়ে পড়ে বলে ঋতুস্রাবের দু'তিন দিন আগে থেকে তলপেটে সম্পূর্ণ স্বল্প ব্যথা অনুভব করে। কারণ জরায়ুর ভিতরের এই লাইনিং যোগে জরায়ুর চারপাশে পেশীর স্তরে (মামেমিয়াম) এন্ডোমেট্রিয়াল গ্রন্থি বা স্ট্রোমা তৈরির জন্য তাকে অ্যাডিনোমায়োসিস বলে। এর ফলে জেরায়ুর স্তর দুই গুণ থেকে তিন গুণ পর্যন্ত যেতে পারে। ঋতুস্রাবের সময় হরমোনের প্রভাবে এই সব অস্বাভাবিক এন্ডোমেট্রিয়াল গ্রন্থিগুলি ছিড়েড়ে বলে তলপেটে উপরে উঠে আসে ও রক্তপাত হয়। এছাড়াও ক্লিং-এর সমস্যা হয়। অ্যাডিমায়োসিসেদের পুলিশ অনেকের যৌনসংসর্গের সময় অংশ। সব ক্ষমতা জরায়ুর এই রোগটি অনেক শক্তি-যন্ত্রণা টেন আনে। ব্যথা বা পানিপাতের জন্য প্রয়োজন আছে। গরম জলে স্নান বা সেঁক নিলে আরাম মেলে। আরও হরমোনাল চিকিৎসা রয়েছে। সমস্যা বেশি হলে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করা যেতে পারে। তবে, মেনোপজের পর এই সমস্যাটি আপনা থেকে দূর হয়ে যায়।

অ্যাডিনোমায়োসিসে লক্ষ্মণ

অ্যাডিনোমায়ো গভীরতা বা বিস্তারের এই রোগের লক্ষ্মণ এক তার এক-একরকম হয়।

১) মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৪০-৬০ শতাংশের ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত (মেনোরেহজিয়া) হয়। এর ফলে নিষ্ক্রিয়, ঝিমু ছাড়াও অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২) অনেকের ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। সাধারণ মানুষ ২৮-৩০ বরং ঋতুস্রাব প্রায় ৩৫-৪০ দিন অন্তর কখনও তারও বেশি ব্যাবধান হয় এবং তখন অনেক বেশি রক্তপাত হতে পারে।

৩) মহিলা সদস্যদের মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ শ্রোণীদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ঋতুস্রাবের আগে তলপেটে খিঁচনো ব্যাথা (ডিসমেরিয়া) হতে পারে।

৪) অ্যাডিনোমায়োসিসেডদের মধ্যে অনেক যৌনসংসর্গের সময় ব্যথা।

৫) এই রোগে জরায়ুর সামনে উপস্থিত হয় বলে তল বা ফোলা অংশের অনেক অংশ।

৬) জরায়ুর উন্নতি বৃদ্ধির জন্য কেউ কেউ ব্লাডার বা মূত্রথলিতে চাপ দেন।

৭) অ্যাডিনোমায়োসিস সন্তানধারণে অক্ষমতার সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাটি থাকলে জরায়ুর সহজে নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে না পারে। ফলে বিপর্যয় ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে অকাল প্রসব জিএস আগে প্রসব হয়।

৮) অ্যাডিনোমায়োসি হচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই জরায়ুর অন্য সমস্যা দেখা যায়। সমীক্ষা পরামর্শ, প্রায় ৫০ শতাংশ ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড, ১১ শতাংশ এন্ড্রোমেট্রিওসিস, ৭ শতাংসের এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপ থাকে।

অ্যাডিনোমায়োসিসের কারণ

অ্যাডিনোমায়োসিস ঠিক কী কারণে তা এখনও অজানা। মনে করা হয় এই বিপর্যয়ের সূচনা হয়, যেটা এন্ডোমে আর মায়োট্রিয়ামের মধ্যে বিভেদ জ্যোত্রেকে দেয়। সিজারিয়ান সর্দার সাহায্য প্রসব বা গর্ভপাতের জন্য এই ভিন্ন সমস্যা হতে পারে। হরমোন যেমন, লোকালপারস্ট্রোজেনিজম, এস প্রোল্যাকটিনের প্রভাব বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। অ্যাডিনোমায়োসিসের পিছনে জিনগত কারণকে কিছু গবেষণায় ব্যক্তিগত করা হয়েছে।

অ্যাডিনোমায়োসিস নির্ণয়

১) শ্রোণীদেশ পরীক্ষা (লভিক এক্সাম)- টাক করে সাধারণ কার্যকর সময়ে জরায়ুর উত্তেজিত করুন, নরম ভাব ও ব্যথা আছে কি না আলোচনা করতে পারেন। তখন নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ আলট্রাসাউন্ড করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২) আলট্রাসাউন্ড- শব্দতরঙ্গের সাহায্যে শ্রোণীদেশের ভিতরে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি পাওয়া যায় ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে। এই ছবি থেকে যেতে যেতে পারে জরায় মোটা হয়ে কি না। যেমন টাং আমাদের রেডিয়েশন প্রয়োগ না সেহেতু এই পদ্ধতির পাঠ আভন্তরীণ প্রাঙ্গণের জন্য। মোটামুটিভাবে ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসাউন্ডে অ্যাডিনোমায়োসিস আছে (৭৯ শতাংশ সেনসিটিভিটি) নেই (৮৫ শতাংশ স্পেসিফিসিটি) তা নির্ণয় করা সম্ভব। অনেক সময়, অ্যানোনোয়সিস ইউটেরাইন ব্রয়েডের প্লান ডিনার ডিপলার আলট্রাসোনোগ্রাফির সাহায্য নেওয়া হয়।

৩) এমআর এই প্রযুক্তির সাহায্যে আরও বেশি নিশ্চিত হওয়া যায় রোগটি সম্পর্কে। প্রায় ৭৪ শতাংশ সেনসিটিভিটি (অ্যাডিনোমায়োসিস আছে) এবং ৯১ শতাংশ স্পেসিফিসিটি (অ্যাডিনোমায়োসিস নেই) পাওয়া যায়।

অ্যাডিনোমায়োসিসে চিকিৎসা

এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু বিস্তারিত অনুঘটক ইস্ট্রোজেন। তাই মেনোপজের পর এই হরমোনের অনুপস্থিতিতে অ্যাডিনোমায়োসিস আপ করা যায়। তার আগে ঋতুমতী স্থায়ী এই রোগের হাত থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া যায়-

১) গরম জলে স্নান, গরম সেঁক, মাসাজ করে আরাম মেলে।

২) পেটের ব্যথা বেশি হলে তা কম করার জন্য কিছু (এনএসএআইডি বা ননস্টেরেডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিলারস) আছে।

৩) অস্বাভাবিক রক্তপাতের জন্য কিছু হরমোনাল চাপ প্রয়োগ করা যায়। যেমন হরমোনাল ইনট্রাইউটেরাইন ডিভাইস বা আইউডি ইত্যাদি।

৪) নিরোধক বড়ি পদ্ধতি ঋতুস্রাবের ব্যথা স্বাভাবিক এবং রক্তপাতও অর্জন। এমনকী স্বল্পমেয়াদে অ্যাডিনোমায়োসিসে প্রকোপ কমতাও সাহায্য করে জন্মনিরোধক বড়ি।

৫) হরমোনাল নয় এমন পরিস্থিতির মধ্যে ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।

৬) আমি অনেক কিছু করতে চাই না এর মধ্যে সবচেয়ে কম ধাতুযুক্ত হল ইউএই বা ইউটেরাইন আর্টারি এমকলেজেশন। পাকিস্তান জরায়ুর মূল দুটি ধমনী (ইউটেরাইন আর্টারি) বন্ধ করে জরায়ুতে রক্তসংবহন কমানো হয়। অ্যাক্সিজেনের অভাবে অ্যাডিনোমাসিস বিকাশ ও বিস্তারে বাধা দেয়। ৫৭-৭৫ শতাংশ মহিলা এই উপায়ে উপকৃত হন। তবে এর কিছু সমস্যাও আছে। এটা করতে গিয়ে জরায়ুতে ইনফ আক্রমণ, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে। ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতাও যেতে পারে।

৭) ল্যাপারোস্কোপ বা হিস্টেরোস্কোপের সাহায্যে জরায়ুর পেশী অ্যাডিনোমায়োমা অপসারণ করা যায়। এই অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ এবং এর ফলাফল হার ৫০ শতাংশ। এই অস্ত্রচারোপ করতে মায়োমেট্রিয়াম বা জরায়ুর পেশী যেতে যেতে পারে। তবে, অস্ত্রোপচার কার্যকর হলে ব্যথা ও রক্তপাত থেকে মুক্তি মেলে। এমনকী মহিলার অক্ষমতা সমস্যাও দূর করা যায়। এই অস্ত্রোপচারের পরে ৭৮ শতাংশ মহিলাধারণ করতে সক্ষম হন। যার মধ্যে ৬৯ শতাংশ সন্তানের জন্মও দেন।

৮) পুরুষের মালিকানার পরিকল্পনা শুরু না হলে এ্যাবলেশন পদ্ধতিতে এন্ডোমেট্রিয়াম অপসারণ বা এন্ড্রোমেট্রিয়াল লেয়ারকে চর্বি অ্যাডিনোমায়োসি সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে অগভীর বা অবিস্তৃত অ্যাডিনোমায়োসিসের ক্ষেত্রে শুধু এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। হাইনার এনার্জি রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, মাইক্রোওয়েভ এনার্জি থেকে শুরু করে থার্মাল বেলুন, গরম জল সঞ্চালন, ওয়্যার-লুপ রিস সক্রিয়, লেজার, ইলেকট্রিক অফিসারড রোলারবল-সহ বেশ কিছু উপায়ে এন্ড্রোমেটিক বিনষ্ট করা হয়।

৯) পরিস্থিতি যদি খুব হয় তখন হিস্টেরেক্টোমি অন্য পুরো জরায়ু টাইবাদ হতে পারে। সংবাদ একাধারে প্রাথমিক ও শেষ উপায়। মনে রাখতে সমর্থকভাবে পরিকল্পনা করা হয় না এবং অন্যভাবে কাজ না করা হয়। মার্টিল ল্যাপারস্কোপির সাহায্যে এটা স্পস্ট করা হয় রোবট অভিজ্ঞতা বা ওপেন সার্জারি করেও অনেক সময় হিস্টেক্টোমি করা হয়।

একথায় বলা হয়, অ্যাডিনোমায়োসিস হল এমন একটা স্ত্রী-রোগ যেটা ঋতুস্রাবের সময় জীবন দুর্বিষহ করে। এর থেকে মুক্তি বাস্তি দিতে ভরসা সেই চিকিৎসা স্ববিজ্ঞান। আপনি পর মাস ব্যথা-যন্ত্রণার প্রতীক এড়াতে বাধারস্থ নৈকট্য আশু।

ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) অ্যাডিনোমায়োসিস থেকে কী ক্যানসার হতে পারে?

না, অ্যাডিনোমায়োসিস থেকে ক্যানসার ঝুঁকি থাকে না।

২) অ্যাডিনোয়োসিস কী সন্তানধারণ করতে বাধা দেয়?

হ্যাঁ, অ্যাডিনোমায়োসিস সন্তানধারণে অক্ষমতার সমস্যা হতে পারে। তবে মোনাল থেরাপি করে বা অন্য কিছু সমস্যা চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই হার নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যাডিনোমাসিসের ক্ষেত্রে মূলটা হয় গ্রাবস্থাবার শুরুতে ভ্রু নিজেকে জরায়ুর সমস্যা প্রতিস্থাপিত করতে না পারে। গর্ভপাত হতে চলতে চলতে থাকে। আর অকাল প্রসব বাজিাদের আগে সব বিপদও থাকে।

৩) অ্যাডিনোমায়োসিস ও এন্ডোমেট্রিওসিসের মধ্যে আলাদা কী?

>দু'টি সমস্যাই এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু সদস্য। এন্ডোমেট্রিয়াল টিশিউ জরায়ুর পের সমর্থক বিস্তারিত বিবরণকে বলে অ্যাডিমায়োসিস। আর এন্ডোমেট্রিয়াল টিসু জরায়ুরে গিয়ে ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপ টিউবে বা অন্য বিস্তারিত জানালে বলে এন্ডোমেট্রিওসিস। দু'টি সমস্যা হচ্ছে প্রধান উপসর্গ ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে অসহ্য ব্যথা। তবে অ্যাডিনোমায়োসিসের ক্ষেত্রে রক্তপাত বেশি হয়।

৪) কাদের অ্যাডিনোমায়োসিস নিয়ন্ত্রণ বেশি?

৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী যারা একটি বিশেষ মহিলার জন্ম দিয়েছে সি-সক্রিয় গ্রুপে অন্য সার্জারি সার্জারি করা হয়েছে (যেমন ইউরেটে ব্রয়েড অপসারণ) এন্ডোমেট্রিওসিও রয়েছে, সেখানে অ্যাডিনোমায়োসিসে সম্ভাবনা বেশি।