আইভিএফ কি (বাংলায় আইভিএফ কি)

শিশুলাভের স্বপ্নপূরণ আইভিএফ-এ

শুধু বংশরক্ষা নয়, পরিবার পরিপূর্ণতা আনে সন্তান। কিন্তু বিশ্ববাসীর যুগে আমিপার্শ্বিক র‌্যাগরণে পিলতালাভের বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সমীক্ষার পরামর্শ, বিশ্বে প্রতি পুরুষ দম্পতি এক জোড়া দম্পতি মহিলার মধ্যে হীনতার সমস্যায় ভুগছে। আশার কথা হল মিল, চিকিৎসা বিজ্ঞানে সহায়ক গর্ভা বাসিস্টেড কনসেপশন পদ্ধতি বিকল্প বন্দোবস্ত রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল ও সফল হলআইভিএফ। 

আইভিএফ কথার অর্থ

আইভিএফ-এর পুরো কথাটা হল, ইন-ভিট্রো ফার্টিলেশন। ভিট্রো কথার অর্থ ব্যবহার। যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় তার কার্যকারিতা পরিবেশে জীবনযাপন করা হয়, তাকে ভিট্রোফার্টিলেশন। ব্যক্তিগত কথায়, পছন্দটিউব বেবি, নলজাতক শিশু। 

আইভিএফ চিকিৎসা 

প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী অর্জনকারী আর প্রযুক্তির মেলবন্ধনে বেশ বৈজ্ঞানিক ধাপে শেষ হয় আইভিএফ। ওষুদের সাহায্যে মধ্যকষ্ট ডিম্বাণু তৈরি করা হয়। সেই ডিম সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে চাষাষ্ট শুক্রাণুর সঙ্গে মিলনসাধন করে এক বা শব্দ ভ্রূধন করা হয়। ক্যাথিটার সাহায্যে ভ্রূণ মিউ জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়। বিভিন্ন ধাপে ধাপে এই পদ্ধতিটি সহজ পদ্ধতিতে ঢালাই করা, সময়সাপেক্ষ ও ব্যায় পদ্ধতির কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিশুলাভের বিভক্ত পিসিল ৪০-৬০ শতাংশ। 

কখন আইভিএফ-এর সাহায্য নিতে হবে

নারী দম্পতি যদি এক বছর পর সন্তানধারণ না করতে পারে, সেক্ষেত্রে তাদের প্রজনন ক্ষমতার সমস্যা আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। ভীরুহীনমন্যতা বা লোকলজায় না ভুগে যতগুলো উত্তরের কাছে যেতে হবে, ভালোভাবে। গণ-নিরীক্ষা করার পর সমাধানের চেষ্টা বা সমাধানের চেষ্টা করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা। অনেক সময়ে ল্যাপরোস্কোপি-হিস্টিরিয়োপি করা হয়। টানাও কাজ না হলে আইআইউআই (ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন) বা  আইভিএফ-এর (ইন-ভিট্রো ফার্টিলেশন) সাহায্য নেওয়া হয়। 

১) নারী প্রজন অক্ষমতা আইভিএফ- প্রতি ১৪ জন মহিলার মধ্যে এক সন্তানধারণে সমস্যা থাকে। স্বপ্ন পুরনো বড় ফ্যাক্টর। কারণ, যত পুরনো বা সাড়ে ডিম্বানুর সংখ্যা ও মান কমতে থাকে। মহিলার বয়স ৪০ বা তার বেশি হলে আইভিএফ-এর সাহায্য নেওয়া ভাল। অনেক সময় ডিম্বলীতে (ফ্যালোপিয়ান টিউব) সমস্যা বা ব্লক থাকলে ডিমের নিষেধাজ্ঞার পথ বা ভ্রূ যেতে যেতে জরায়ুতে পথ বাধা হয়। আইভিএফ পদ্ধতিতে এই দু'টি ধাপ এগিয়ে ল্যাবরেটরিতে শেষ হয় বলে সমস্যাটি এড়ানো যায়। আবার ভুল মহিলা ঋতুস্রাব অনিয়মিত, ডিম্বাশয় থেকে প্রতি আশা ডিম্বাণু আসে না, তাদের ক্ষেত্রে আইভিএফে সুফল মেলে। এন্ডোমেরাভিয়ারসিস সমস্যায় কার্যকরী। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড (টিউমার) থাকলে নিষিক্ত ডিম প্রতিস্থাপনে সমস্যা হয়। আইভিএফ-এ এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ডিম্বনালি সংসদ বা ইন্সটেন্ট বন্ধাত্বকরণের কারণে আবার গর্ভধারণ করতে চাইলে আইভিএফএফ করা যেতে পারে।

২) পুরুষ প্রজনন অক্ষমতা আইভিএফ- অনেক সময়ই পুরুষের শুক্রাণুর ঘনত্ব (কনসেনট্রেশন), সচল ক্ষমতা (মবিলিটি) বা উত্তেজনা-আয়তনে (মরফোলজি) সন্তানধারণে সমস্যা হয়। ব্যাপক আইভিএফ-এ সুফল মেলে। পুরুষসঙ্গী সহবাসে অক্ষম বা ঠিকমতো বীর্যক্ষরণ না হলে অন্য দাতার থেকে শুক্রাণু (ডোনার স্পার্ম) নিয়ে গর্ভধারণে আইভিএফএফ সক্রিয় পদক্ষেপ।

আইভিএফ-এর সদস্য

চিকিৎসা শুরুর আগে নিজের শরীর-মন প্রস্তুত করতে হবে। ইতিবা মনোভাব এবং অন্য সদস্যদের সদস্যদের প্রয়োজন। হরমোনের ভার্সাম্য নষ্ট হয়। তাই স্ট্রেস কমাতেই হবে। শারীরিকভাবেও পার্টি-সবল খাবার হবে। পাহাঁ হাঁটাচলা, যোগব্যায়ামকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্বাস্থ্য আপনার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মদ্যপান বা ধূমপান বা নেশার কবে পরিত্যাগ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। লাভ-পর্বে চিকিৎসার ধাপগুলি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা প্রয়োজন। জরায়তে ক'টি ভ্রণ প্রতিস্থাপন করা ঠিক করতে হবে। 

মহিলাদের শারীরিক পরীক্ষা

১) ওভারিয়ান রিজার্ভ নেতা- উদ্দেশ্য ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান পরীক্ষা। অন্ত্রাল ফলি কিউল ডিসেন্টে ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমো (এফএসএইচ) ও অ্যান্টি মুলিয়ান হরমোনের (এমএইচ) রক্ত ​​নির্ণয় করে এই পরীক্ষা করা হয়। বেশি এএমএইচ থাকার অর্থ, 'ওভারিয়ান রিজার্ভ' ভাল বা যথেষ্ট সংখ্যায় ডিম রয়েছে শরীরে। উওর দিকে এফএসএইচ বেশি থাকার অর্থ 'ওভারিয়ান রিজার্ভল্ট'

২) হাইকোসি- পুরো কথাটা হিসটেরোস্যালপিঙ্গো কনট্রাস্ট সোনোগ্রাফি। আলট্রাসাউন্ডের সাহায্যে এই পরীক্ষায় ফ্যালোপিয়ান টিউবের পরিষ্কার ছবি পাওয়া যায় এবং সমস্যা কি না জানা যায়। 

৩) হরমোন পরীক্ষা- কী করা হবে ঠিক করতে ইজজেন, প্রোজেস্টেরন, কাউন্সিলোস্টেরন, থাইরয়ে, প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি

পুরুষদের শারীরিক পরীক্ষা

বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য পুরুষসঙ্গীর সিমেন অ্যানালাইসিস কাউন্সিল করা হয়। 

আইভিএফ পদ্ধতি

১) ডিম তৈরি- প্রথম ধাপে ইনজেকশন দিয়ে ভাল ডিম্বাণু করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণ প্রতি আশা একটা ডিম ফোটে। কিন্তু সতর্ক পদক্ষেপ প্রয়োগের ফলে কোড ডিম পরিপ্রেক্ষিত হয়। যদি দিয়েও পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডিম্বাণু তৈরি না করা যায় তখন দাতার ডিম্বাণু নিয়ে আইভিএফ করা হয়।

২) ডিম সংগ্রহ- ঋতুক্রের দ্বিতীয় বা তিন দিন ফলি কিউলার স্টাডির মাধ্যমে ডিম্বাণু শান্তিপূর্ণ অবস্থার তত্ত্বাবধান ও কবে বারবার করার জন্য তা নির্ণয় করা হবে। সেই মতো দিন আর একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় যা ডিম ফাটিম্বার ডিম্বাণুকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই ইনজ ক্রেক্ট ৩২-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আলট্রা সনোগ্রাফির সাহায্যে ডিম্বানুগুলিকে বার করে আনা হয়। 

৩) শুক্রাণু সংগ্রহ- একই গ্রামের পুরুষসঙ্গীর শুক্রাণু সংগ্রহ করে (ডোনার স্ফর্মও ব্যবহার করতে পারে) পরীক্ষাগারে দেওয়া হয়।

৪) নিষেধকরণ- ডিম্বাণু ও শুক্রাণু পরস্পরকে নিষিক্ত করে ভ্রূণ তৈরি হয়। অথবা শুক্রাণুকে প্রদেশ ডিম্বাণুতে ইঞ্জেক্ট করে ভ্রূণ করা হয় (আইসিএসআই)। 

৫) প্রেম ও স্থাপন- ভ্রূণ তৈরি হওয়া পরে তা ইনকিউবেটরে রাখা হয়। এই সময় একটি ছোট পরীক্ষা করা হয় (প্রিমপ্লান্টেশন চিহ্নিতকরণ চিহ্নিতকরণ) যাতে জিনগত ত্রুটি রয়েছে কি না তা জানা যায়। পাঁচ থেকে ছ'দিনের বন্ধু, ষোলো ঘোড়া বা ব্লাস্টোসিস্ট অনেক সময় দু'টি বা ভ্রূণ প্রতিস্থাপিত করা হয়। একদিকে যেমন গ্রুপধারণে সফলভাবে হার বাড়ে, প্রতীকই যমজ বা মহিলা কাউন্সিলর প্রসবের কাছ থেকে পাওয়া যায়। 

আইভিএফ-এর সুবিধা

১) আইভিএফ-এ পাসের হার বেশি। বিশেষ করে ৩৫ এর যাঁদের পুরনো, ক্ষেত্রে। তবে আগের চেয়ে বেশি হলে হার। 

২) কথা বার চেষ্টা করা যায়। 

৩) দম্পতি ডিম্বাণু বা শুক্রাণুতে সমস্যা থাকলে বা অপরিচিত দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যায়।

৪) যে সব ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও প্রজনন অক্ষমতার সঠিক কারণ জানা যায় না, সেখানে আইভিএফ উপস্থিত হয়।

৫) প্রজনন সংরক্ষণে আইভিএফ কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। যেমন, ক্যানসার চিকিৎসা (কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন) প্রজনন ক্ষমতা খারাপ প্রভাব। স্বাস্থ্য চিকিৎসা শুরুর আগে ডিম বা শুক্রাণু সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা যায় বা অনেক ভ্রূণ সংরক্ষণ করা যায়। 

৬) জরায়ুর কারণে সন্তানধারণে অক্ষম হলে আইভিএফ পদ্ধতি নিয়ে দম্পতির ভ্রূণ অন্য মহিলার সাহায্যে প্রতিস্থাপিত (সারোগেট বাসশানাল গঠন) করা যায়।

৭) এই পদ্ধতিতে কখন গ্রোধারণ হবে সেই জিনিষের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে।   

আইভিএফ-এর বিপরীত-প্রতিক্রিয়া

ভাল ডিম তৈরির জন্য যে হরমোন (এইচসিজি) দেওয়া হয় ওভারিয়ান হাইপারুলেশন সিনড্রোম হয়। টানা ডিম্বাশয়ে ফোলা ভাব ও ব্যাপারটা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের উপসর্গ যেমন মাথা ব্যাথা, বমি, সহজতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্তনে ভার্ভাব হতে পারে। তবে, স্বাভাবিক দীর্ঘমেয়াদী বা ব্যবহার ব্যবহার খুব ক্ষতিকর নয়। অনেক ওভারিয়ান হাইপারমুলেশন ড্রোমের জেরে দ্রুত গতি বৃদ্ধি ও শান্তির সমস্যা হয়। আগে একটি মন্তব্য ছিল যে ডিম ফোটানোর জন্য তা প্রয়োগ করার জন্য জননকে প্রয়োগ করা হয় স্ত্রীঅঙ্গেনার ক্যানসার চাই বাড়ে। যদিও এই ধারণার স্বপক্ষে গবেষণা পাওয়া যায়।     

কোড আইভিএফ করাব

সমস্যায় অকার্যকারিতা পছন্দের চিকিৎসার একটা সমস্যা হলসই প্রতিবাদ ও বড় ক্লনিক খোঁজাখুঁজিতে সন্তানের সময় নষ্ট হয়। আবার কী কী নিয়মনির্ণয় সেই মতো পদক্ষেপের সময় ও হয়রানি- দু'টোর হাত মুক্তি মেলে।

১) পথই যে স্বীকারোক্তি বা ক্লিনিকে যাচ্ছে, সেখানে ফলাফলের হার মুসলিম হতে হবে।

২) লোকমুখে নয় নিজে এবং এর সাথে কথা বলার পরে নিতে হবে। ধৈর্য ধরে কথা শুনে কি না তার ব্যবহার দেখতে হবে। আইভিএফের অনেকটাই টাইপের অভিজ্ঞতার উপরে নেতা করে। 

৩) মনে হচ্ছে যে প্রশ্নগুলোকে প্রশ্ন করা উচিত নয়। চিকিৎসা শুরু করার আগে আলোচনা ভালো। বিশেষ করে খরচ আর কতটা সময় দিতে হবে

৪) ক্লিনিক পরিকাঠামো, পরিচ্ছন্নতা-বোধ ইত্যাদি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে।

৫) স্বাস্থ্য আচার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

৬) বাড়িখেকে ক্লিনিকের দূরত্ব বেশি হলে বারবার যাতায়াত করতে পারে।

আইভিএফ পরবর্তী পদক্ষেপ

জরায়ু যাতে ভ্রূণ ধরে রাখতে পারে তার জন্য কিছু রক্ষা করা হয়। দু'সপ্তাহের অপেক্ষা। এই সময় পথ চলা স্বাভাবিক শারীরিক পরিশ্রম, পথ পালা, রাস্তাদৌড়ি ইত্যাদি এ মনে হবে। স্বাস্থ্য কর আপনাকে নিয়মিত করতে হবে। নিয়োগ ফোলিক অ্যাসিড নিতে হবে। দু'সপ্তাহ পরে রক্ত ​​পরীক্ষা করা যায় গর্ভধারণ সফল হয়েছে। রেজাল্ট 'পজিটিভ' হলে গর্বতীর ব্যবস্থা চিকিৎসা শুরু করতে হবে। 'নেগেটিভ' হলে তাশের কিছু নেই। আরও কয়েকবার চেষ্টা করা যায়। প্রথম অনুরোধ আশা 'ফ্রিজ' করা হলে পরের খরচ আর সময় দু'টোই বাঁচে।