আইআইউআই- সন্তানলাভের সহজ ও প্রাথমিক ধাপ

আমার জীবনযাত্রায় সন্তানলাভে অক্ষমতা একটা বড় সমস্যা হয়েছে। শাসনভার চাকরি, মহিলা আর কেরিয়া গোছাতে গোছাতে তিরিশটা বসন্ত চলে যায় কোথা দিয়ে। তারপরে যখন আমি অনেক থিতু হয়েছি তখন ভালোবাসতে খুশি সদস্যকে আনার কথা ভাবছে দম্পতি, পথের পথে হাঁটতে পারে অনেক সময়। পূর্বজনিত কারণে জননীতি সমস্যা বাস বাধে। অনেক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, আধাস, রাত জাগা, অতিরিক্ত উচ্চারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো যে সমস্যাকে উদ্বুদ্ধ করে। মহিলা দম্পতি যদি এক বছর চেষ্টা করার পর মহিলাকে ধারণ না করতে পারে, সেক্ষেত্রে তারা মহিলালাভে অক্ষম বলে নেওয়া হয়৷ মুশকিল হল সন্তান, অক্ষমতাকে ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত সমস্যায় নিঃমন্যতা ভোগেন এবং চেচে যান। কিন্তু এই ভাবনা থেকে রাখা উচিত। কারণ, সন্তানহীনতার সমস্যায় বিচ্ছিন্ন পরিস্থিতি বা একার নয়। সমানের মতো জনবিস্ফোরণ রাজনীতিও প্রায় ১২ শতাংশ দম্পতি মহিলা মহিলার সমস্যায় ভুগছে। আশার, ন্যাচারাল বা জৈবিক উপায়ে যারা সন্তানধারণ করতে পারবেন না, তাদের জন্য উপকারী চিকিৎসা চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যাসিস্টেশন অ্যাসিস্টেশন বা গর্ভা পদ্ধতি বিকল্প বন্দোবস্ত রয়েছে। আর এই পদ্ধতির সবচেয়ে সহজ ও প্রাথমিক ধাপ হল আইআইউআই বা ইন ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন।

আইউআই কী?

এই চিকিৎসা পদ্ধতির সংগঠিত বীর্য থেকে গুণগত মানসম্পন্ন পুরুষ শুক্রাণু ল্যাবরিতে বাছাই করে (স্পার্ম ওয়াশিং) স্ত্রীর গভর্নমেন্ট লক্ষ্য করানো হয়, যাতে পরিভ্রমণ পথক্ষিপ্ত হওয়া বর্ধিত-সবল শুক্রাণু সহজে ডিম্বাণুর সক্রিয় আসে এবং গর্ভধারণ পারে বাড়ে। এই পদ্ধতির সুবিধা হল, সমস্যা কম, জটিলতা কম, সময় কম, এমনকী খরচও কম।

আইইউআই পদ্ধতি কখন ও কেন?

১) যে সব দম্পতির সন্তানহীনতার কারণ অজানা অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে অনুর্বর সঠিক কারণ জানাতে তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির সাহায্য নিলে সুফল মিলতে পারে।

২) যে সকল হেড এন্ডোমেট্রিয়াসিসের ভুল সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই প্রক্রিয়া কার্যকরী।

৩) পুরুষের সঙ্গে শুক্রাণুর গুণগত সমস্যা এই পদ্ধতির সাহায্যে সুফল পাওয়া যায়। অনেক সময়ই পুরুষের শুক্রাণুর ঘনত্ব (কনসেনট্রেশন), সচল ক্ষমতা (মবিলিটি) বা গঠন-আয়তনে (মরফোলজি) সমস্যা তৈরি হতে পারে। আইআইআইআই পদ্ধতিতে উন্নত শুক্রাণু প্রয়োগ করে গর্বাশয়ে বলা হয় নিম্নমানের শুক্রাণু বা অন্যান্য উপাদান মিলনের পথ বাধা হতে পারে।

৪) পুরুষসঙ্গী সহবাসে অক্ষম বা ঠিকমতো বীর্যক্ষরণ না হলে এই কার্যকরী।

৫) অন্য দাতার থেকে শুক্রাণু (ডো স্পার্ম) নিয়ে আইধারের ক্ষেত্রে আইআইউ প্রাথমিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ।

৬) ঋতুস্রাব অনিয়মিত, ডিম্বাশয় থেকে প্রতি আশা ডিম্বাণু আসে না বা জরায়মুখ সঙ্কুচিত, তাদের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি কার্যকর।

৭) জরায়ুর মিউকাস খুব ঘন হলে অনেক সময় শুক্রাণকে ডিম্বাণু পর্যন্ত দেখায় না। আবার জরায়ুরজনিত কারণেও অনেক সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন হয় না। আইআইউআই পদ্ধতিতে জরায়ু বাইপাস করে গর্ভাশয়ে শুক্রাণু আমাকে দেওয়া এই সমস্যা এড়ানো যায়।

৮) প্রায় বিরল দেখতে আর একটি ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে প্রযুক্তি মেলে। ভাল হল, অনেক মহিলার বীর্যরসে (সিমেন) প্রোটিনে অ্যালার্জি থাকে। কন্ডোমের সাহায্যে সেক্ষেত্রে সহবাস সম্ভব হলে গর্তধারণ ব্যক্তি। আইআইউআই-এ সমস্যা শুক্রাণু বাছাই পদ্ধতির সময় কারণ বীর্যের প্রোটিন ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদান অনেকটাই বোঝানো হয়, সেহেতু এই এড়ানো যায়।

আইইউআই-এর বিরুদ্ধে

সিস্ট কনসেপশন বা সহায়ক গর্ভধানের যে পদ্ধতিতে বেশি তা হল শরীর ও সবচেয়ে বেশি মনে হয়। ইতিবা মনোভাব এবং অন্য সদস্যদের সদস্যদের একান্ত কাম্য। এভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে না এই পদ্ধতির সুফল মেলে না। হরমোনের ভার্সাম্য নষ্ট হয়। প্রজননক্ষমতা যা বড় বাধা। আর একটা বিষয় হল, শারীরিকভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। পাহাঁ হাঁটাচলা, যোগব্যায়ামকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্বাস্থ্য আপনার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মাপান বা ধূমপান করা না। রাত জাগলে শরীরে ধকল আসে। তাই ঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম একান্ত প্রয়োজন। শুরু করতে

গর্ভধারণে আবশ্যিক শারীরিক কিছু পরীক্ষা করাবেন উল্লেখ। সেক্ষেত্রে সমস্যা পড়লে তার চিকিৎসা করতে হবে। হরমোনের ভার্সামে হেরফের হয়ে থাকলে ঠিক করা হয়। মোট কথাও সবল শুক্রাণু, ডিম্বাণু যোগের সব ব্যবস্থা করতে হবে।

ডিম্বাণুর ক্ষেত্রে ডিম ফোটার সময় খুবই জরুরি। বাড়িতেই ওভাল্যুয়েশন প্রেডিক্টর কিটের সাহায্যে এই সময়ে যেতে যেতে পারে। অনেক সময় ফলি কিউলার স্টাডির জন্য ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসাউন্ডের সাহায্য রোধেরা। প্রয়োজনে এইচজি ইনজেকশন সক্রিয় বা কিছু কিছু দেওয়া হতে পারে ভালো ডিম্বাণু গঠন করার জন্য। ডিম ফোটার পরে-পরেই আইইউআই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সদস্য, পুরুষ বীর্য থেকে উন্নত গুণমানের গুণীজন শুক্রাণু প্রয়োগ করে ল্যাবরেটরিতে বিশেষ এক প্রক্রিয়ায় (স্পার্ম ওয়াশিং)। স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু নিলে তা এই পদ্ধতির জন্য তৈরি (ওয়াশড) হয়ে আসে।

আইআইউআই প্রক্রিয়া

ক্লিনিকে পুরো প্রক্রিয়াটি খুব বেশি হলে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য। আর শুধুমাত্র দুটি থেকে পাঁচ মিনিট আইডি। এর জন্য এই প্রক্রিয়া যন্ত্রণাদায়ক নয়। উন্নত গুণমান শুক্রাণু ক্যাথিটারের মাধ্যমে যোনি পথ

গর্ভাশয়ে খুঁজে বের করা হয় না ইনজেকশনের সাহায্যে। কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিয়ে গ্রহীতা বাড়ি পেতে যেতে পারেন। ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা পালন করা যাবে। তবে, অবশ্যই সাবধানে থাকবে। এক-দু'দিন হালকা স্পেটিং হলে চিন্তা করার কিছু নেই।

আইউআই- বিপদে

সহজ সহজ ও শিক্ষা এই পদ্ধতিতে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, ইনফ গ্রুপ গ্রুপ একটি ঝুঁকি থাকে। ক্যাথিটার ঢোকানোর সমযয় কারণে ক্ষত হলে খুব একটা রক্তপাত হতে পারে। যদিও গভর্নে এর প্রভাব পড়ে না। আর অনেক সময় যমজ বা সন্তান প্রসবের ইচ্ছা থাকে। তবে এই প্রক্রিয়ার জন্য আলোচনা করা হবে না। ডিম ফোটার যে মোনাল চেষ্টা করার জন্য চেষ্টা করা হয় শরীরে, তার জন্য হয়। থোকায় থোকায় থোকায় পড়ে চিন্তা করতে হবে তবে, রক্তপাত বা ব্যথা বা অন্যের সমস্যায় অস্বাভাবিকতা দেখা পরবর্তী অবশ্য জবাবের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আইউআই সফলতার হার

সাধারণ দু'সপ্তাহ পরে প্রেগন্যান্সি কাউন্সিল করে দেখান হয় গর্ভধারণ করা সফল হল। খেয়াল রাখতে হবে, বাড়িতে প্রেগন্যান্সি কিটে অনেক ভুল ফলাফল আসতে পারে। যেমন গভর্ধারণ সফল দেখতে শুরুর দিকে শরীরে প্রেগন্যানি কাউন্টি কম্পাঙ্ক গঠন না হরমোর অনেক সময় ফলস-নেগেটিভ' শব্দ আসে। আবার যারা এইচসিজি হরমোনের গঠন নিয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে গবতী না শক্তি শরীরে এই হরমোনের উপস্থিতির জন্য 'ফলস-পজিটিভ' রেজাল্ট আসে। তাই পরীক্ষা করা এই সুনিশ্চিত হওয়া উচিত পরবর্তী পদক্ষেপের পদক্ষেপ নেওয়া।

'পজিটিভ' হলে মাতৃত্বের যাত্রা শুরু। এ এক নতুন পথ, আশার পথ, আলোর পথ। কিন্তু 'নেগেটিভ' টিপস চিন্তার কিছু নেই। গ্রুপ আইআইউ করার ক্ষেত্রে গ্রুপবতী দলের সামনে ১০-১৫ ভাগ। প্রতিবার এই ইচ্ছা বাড়তে থাকে। সাধারণত তিন থেকে আইইউআই চারবার হারে ৪০-৫০ ভাগ হয়ে যায়। এটির জন্য একবার সফল না হলে আরও চার-পাঁচ বার এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করা উচিত। তাহলে এই প্রক্রিয়ায় আইসি না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ভিএফ, আইসিএসআই ইত্যাদি সাহায্য নেওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, লক্ষ্য এক দেখার উপায় অনেক। বিশ্বাস আর ইতিবা মনোভাব থাকলে জীবনের পথের বড় বাধা-বিঘ্নমুখে হাসিমুখে করা সম্ভব।

স্বীকৃতি জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা:

• আইউআই কতটা পাঠ?

আইআইউ আই সহজ এবং শিক্ষা পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় গভরধারণে জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই বললেই চলে। তবে, অনেক ইন টাইম ইন ফাইল গ্রুপ থেকে পাওয়া যায়।

• আইউআই কখন সফল হয় না?

দীর্ঘ, কত দিন ধরে সন্তানের উপরে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, পুরুষসঙ্গীর বীরে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান ইত্যাদি বেশ কিছু বিষযের সফলতার হার করার জন্য। ক্রমবর্ধমান ফলাফলের ভিত্তিতে, ল্যাব টেকনিশিয়ান অভিজ্ঞতা, ল্যাব টেকনিশিয়ান নম্বর, এর ল্যাবরিনিক কুলও উপরে এই পদ্ধতি কতটা সফল হবে।

• প্রথমবার আইআইউআই-তে গর্ভধারণের পরিকল্পনা কতটা?

মোটামুটিভাবে ৩৫ বছরের কমবয়সীর ক্ষেত্রে প্রথমবার আইউআই পদ্ধতিতে গণধারণা পদ্ধতি ১০ থেকে ২০ শতাংশ। পুরনো বাড়লে পছন্দর হার কমবে। চল্লিশের বেশি বেশি হলে আইউআইআইতে গর্ভধারণ বিবেচনা পদ্ধতি পদ্ধতি ২ থেকে ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে আরও কয়েকবার এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করতে চেষ্টা করুন। তৃতীয় বা সামনে বারবার গর্ভধারণ সবচেয়ে বেশি হয়।

• কী খাবার শব্দ আইআইউআই পদ্ধতিতে গড়ধার পরিকল্পনা বাড়বে?

সবুজ শাক সব গ্রুপে ফোলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সিলিকে বলে থাকে এই সময় জানতে চাই। সূর্যমুখীর বীজ (সানফ্লাওয়ার সিড) ভিটামিন ই, ফোলেট, সেলেনিয়াম আর ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এছাড়াও ডাল, বিনস, আখরোট, ডিমের কুসুম, দারচিনি ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখালে সুফল মেলে।