পিসিওএস এবং পিসিওডি-র তফাত জানুন

নামটা প্রায় এক, লক্ষ্মণওশ-বিশ। কিন্তু পিসিওএস পিসিওডি যেটা আলাদা শারীরিক সমস্যা, দুই' উত্তরের পরিচয় না এখনও। এমনিতেই ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যথেষ্ট আশা-দ্বিধা রয়েছে আমাদের সমাজে। তার সঙ্গে একই সমস্যাগুলো তাই একঘরে হয়ে পড়ে। নারী, পরিসংখ্যান কথন ভারতে প্রতি পাঁচ জন রজস্বলা মহিলার এক জন পিসিওডি-র সমস্যায় ভোগেন। অনিয়মিত ঋতুস্রা শুরু করে বৃদ্ধি বৃদ্ধি, সন্তানধারণে অরব যেমন শারীরিক সমস্যা ব্যবস্থার জন্য ব্যক্তিগত পিসিওএস আর পিসিডি। নিজেকে নিয়ে মনের অভাব সমস্যাকে আরও তুলছে। বিশ্বায়ন যুগে মানসিক জীবনযাত্রার কারণে শরীরে থাবা বসছে এই রোগগুলো। এর থেকে নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করতে কমতে, স্বাস্থ্য খাদ্যাভাস সমর্থন করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম আর রুটিন প্রক্রিয়া জীবনযাত্রা অভ্যন্তরীণ হতে হবে। তবে সবার আগে জানতে হবে শারীরিক এই সমস্যাটি প্রকৃতি ও কার্যকারিতা।

পিসিওডি কী?

পিসিওডি-র পুরো নাম পলিস্টিক ওভারিয়ান ডিসিজ। রজস্বলা সম্প্রচারের পর প্রতি আবেগে একটা ডিম ফোটে আর ঋতুস্রাবের সময় একজন নারী শরীর থেকে। দু'টি ডিম্বাশয় পালা করে বিশেষ একটা করে ডিম ছড়িয়েছে। কিন্তু পিসিওডি-র সমস্যা থাকলে ডিম্বাশয় থেকে অপরিণত বা অর্ধে পরিণত ডিম নির্গত হয়। এই ডিমগুলো বেরোতে পারে না বলে ডিম্বাশয় ক্রমশ অপরিণত অর্ধপরিণত ডিমে ভরে যায়। পরবর্তী সময়ে এগুলি জমে সিস্টে পরিণত হয়। ছোট ছোট টিউমারের উত্তরে দেখতে এই সিস্টগুলো তরল ও অর্ধল উপাদান দিয়ে তৈরি। ৬ মিলিলিটার পর্যন্ত হতে পারে সিস্ট। পলি কথার অর্থ অনেক। সিস্টের সংখ্যা বাড়তে থাকা ফুলেফেপে ডিম্বাশয়ের পরিবর্তনে পরিণত হয়। সাধারণভাবে ডিম্বাশয় খুব সহজেই আমাদের পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন গঠন করে। কিন্তু পিসিওডি হলে ডিম্বাশয়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন লাইন ব্যাখ্যা করা যায়। জেরে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, যার শরীরে লোমের আধিক্য, পেটে চর্বি জমাও বাড়া, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে সন্তানধারণে অক্ষমতা সমস্যা হয়। 

পিসিওডি একটা উপসর্গ, বড় রোগ নয়, সেতু এটার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। পরিবহন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা যায়। যেমন, স্কিপিং, জগিং, দৌড়ানো ও দ্রুত হাঁটাহাঁটির মতো (কার্ডিও) শারীরিক অনুশীলন, যোগব্যায়াম, বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানোর ব্যায়ামকে সুফল মেলে। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের পছন্দের প্রোটিন সুন্দর খাবার আর ফাইবার যুক্ত ফল, শাকসব আপ আরও বেশি হবে। এলাকাবিশেষে হরমোনের ভার্সাম্য আনতে প্রয়োগও দেন জবাবেরা। কখনও আবার ল্যাপারোস্কোপিক ওভারিয়ান ড্রিলিংয়ের মতো পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। 

পিসিওএস কী

পিসিওএস-এর পুরো কথাটা হল পলিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এটা একটা মেটাবলিক ডিজার্ডার, যার জেরে ডিম্বাশয়ে অনেক বেশি পুরুষে পুরুষ মোন অ্যান্ড্রোজেন বল্টুর হয়। এই হরমোনের জন্য ডিম ফোটার কাজ ব্যাহত হয় এবং অপরিণত ডিমগুলি সিস্ট ওভারতে জমাতে থাকে। পুরো ডিম্বাশয় স্থায়ীভাবে ঘেঁষে (সারফেসে) ছোট ফোসকারের মতো সিস্টোয়স থাকে। এইভাবে ডিম্বাশয় ভারী হওয়া যায়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব পিসিওএস-এর প্রধান লক্ষ্মণ। পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলে দু'টি ঋতুচক্রের জিনিষ ব্যাবধানে থাকে (৩৫ দিন বা তার বেশি)। এইভাবে হয় ১২টার (১২ দেখা ঋক) সতর্কতা অবলম্বন ৯টা ক্রাবার হল বা তারও কম। পুরুষ হরমোনের আধিক্যের কারণে শরীরে লোমের আধিক্য (হিরসুটিজম) দেখা দেয়। গোঁফের রেখা, ব্রান হয়, চুল পাতলা হয়ে আসে। জীবনও বাড়ে। ঘুমের সময় বিশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটে, যারে ঠিক মতো ঘুম হয় না।

কেন পিসিওএস হয়, তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে এখনও। তবে কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে এই উত্তর উত্তর। যেমন ইনসুলিনের বাধার কারণে শরীরে ইনসুলিন ব্ল্যাক এই সমস্যা হতে পারে। কারণ ইনসুলিন খুব বেশি ব্যাটল হলে তা পুরুষ হরন অ্যান্ড্রোজেনের শক্তি ক্ষমতা দেয়। গবেষণা করা, জিনগত কারণও এই কারণে হতে পারে। তাই যে পরিবারে মা-মাসিদের পিসিএস-সমস্যা রয়েছে সেখানে পরবর্তী প্রজন্মের এই সমস্যায় সামনের নজির বেশি।  

ডিম ফোটার কাজ ব্যাথা হয় বলে পিসিওএস-এ সন্তানধারণে সমস্যা হয়। আমাদের সব গর্পাত ও ফাইলের আগে প্রেরিত বিপদও থাকে পিসিওএস পুলিশদের। উচ্চাচাপা সমস্যা, পটু ডায়াবেটিস টাইম রক্তে থাকে। ওভ্যুলেশন বলে না জরায়ুতে ইউটেরাইন লাইনিং জমে জমে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের সামনে থাকে।

পিসিওএস-এর চিকিৎসা বলতে জন্মনিরোধক বড় যাতে মহিলা মোন ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টিন (প্রোজেস্টেরের মতো কাজ করে) শক্তি ঋতুস্রাব স্বাভাবিক করে, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ত্বক বা ব্রেনর সমস্যার সমাধান করতে পারে। ক্লোমিফিন প্রদানের জন্য পিসিও এস থাকলে গ্রোধারধারণা। টানাও কাজ না হলে মেটফরমিন (টাইপ টুডিয়াবেটিসে) যোগ করা হয়। ব্রেস্ট ক্যানসারে ব্রোট্রোজোল ডিম্বাশয় উদ্দীপনায় কাজ দেয়। আরও গোনাডোট্রপিনস হরমোন ইনজক্রাইটিস দেওয়া হয়। শরীরে লোমের আধিক্য ও ব্রনার সমস্যাতে জন্ম নিরোধক বড়ি কার্যকরী। একই সমস্যায় স্পাইরোনোল্যাকটন নেওয়া যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা (ফ্যামিলি প্ল্যানিং) করা যাবে না। আরও কিছু আছে। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মেই রোগ সারানোর ব্যবস্থা নয়, উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় মাত্র। নেটওয়ার্ক জীবনযাত্রা এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক বেশি কার্যকরী। বিশেষ করে কমতে কমতে ভালো ফল মেলে। ব্যায়ামতে এবং কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

পিসিওএস এবং পিসিওডি-র ভিন্ন

আলোচনার জন্য এটার প্রতিনিধিরা যে দু'টি সমস্যাটি প্রজননতন্ত্রের সাথে এবং প্রজনন সক্রিয়তা প্রকাশ করে। দু'টি ক্ষেত্রেই হরমোনের তারতম্য শরীরে। দু'টি সমস্যার কারণও প্রায় এক এবং স্বাস্থ্য উপসর্গ জীবনযাত্রা সমস্যা দু'টি নিয়ন্ত্রণের উপায়। তবে, এই মিলগুলো যেমন আছে, দুই'টার মধ্যেও অনেক আছে। সেগুলি হল—

• প্রথমত, রোগের পাথর। পিসিওএস অত্যন্ত গুরুতর একটি রোগ। পিসিওডি সেই সাধারণ কমন। পিসিওডি-কে রোগও বলা না, উপসর্গ বলা ভাল। স্বাস্থ্য স্বাভাবিক খাবার, ব্যায়াম, শরীরচর্চা করে পিসিওডি বাগে আনা যায়। বিশেষ করে সম্পর্ক কমানোর সঙ্গে এটা কমার একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু পিসিওএস এন্ডোক্রিন সিস্টেমের গোল্ডমালের জন্য হয়। ইউনিভার্সিটি থেকে হরমোনাল ডাক্তার ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণ করা বাগে আনা বেশ কঠিন।

• দ্বিতীয়ত, পিসিওডি-র সমস্যা অনেক মহিলারই রয়েছে। সেই স্বাভাবিক পিসিওএস-এ কম ভোগে মহিলারা। দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্রে ইউনিসেফের করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই এলাকায় রজলা শিশুদের মধ্যে ৯.১৩ শতাংশ পিসিওএস সমস্যায় পড়েছেন, যেখানে পিসিওডিতে ভোগার সংখ্যাটা ২২.৫ শতাংশ।  

• তৃতীয়ত, দু'টি সমস্যাই সমাধানের পথে বাধা। কিন্তু যাত্রার জীবন পরিবর্তন করে এবং কিছু সারিয়ে সারিয়ে পিসিওডি-র সমস্যা অনেকটাই কেটে যায় এবং শিশুধারী হয়। সুস্থ, পিসিওএস-এর সমস্যাটি টাইম যে জটিল জীবনযাত্রার সাথে সুদিষ্ট চিকিৎসা করতে হয় এবং তারপরে এতলাভের মহিলা কতটা সুনিশ্চিত করা হয় তা বলা যায় না। আর গর্ভপাত বা মিসক্যারে ঝুঁকিও থাকে এই রোগে।

• ঐক্যত, পিসিওডির সমস্যা হলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। মনে, হরমোনের অস্বাভাবিকতার জন্য পিসিওএস-এর সমস্যা হয়। এইভাবে এই দু'টি সমস্যার মধ্যে কার্যকারিতার বিপরীত একটি সম্পর্ক রয়েছে। পিসিওডি হল আদপে একটা উপসর্গ, সেখানে পিসিওএস একটা রোগ। 

ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) পিসিওএস ও পিসিও-র সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কী দেখাতে হবে?

কম কার্বোহাইয়েট এবং সেই জায়গায় প্রোটিন ও ফাইবার শান্তি আরও বেশি করতে হবে। সাধারণ ভাত-রুটি ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড নীতি ভাল। রান্নার মাধ্যমে অলিভ, ক্যানোলা, পিনাট বা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা উচিত। শাকসবজির সঙ্গে ফলমূল হবে। তবে, আম, কলা, আতা, আঁখ, কাঁঠার মতো ফলগুলো না ভাল। কুসুম বাদ ডিমের সাদা অংশ, ছোট মাছ নিজে নিজে হতে পারেন। আপনার কাছে এমন হবে। প্রসেসড খাবার, রেড মিট, ভাভুজি থেকে যতটা সম্ভব সম্ভব ভাল।

২) পিসিওএস পিসিওডি কীরূপে ও রূপান্তর করা সম্ভব?

না, এইগুলিকে এভাবে সারিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তবে, এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বা কমানো যায়।

৩) মেনোপজের পর কী পিসিএস-এর থেকে মুক্তি মেলে?

না, মেনোপজের সময় শরীরে হরমোনের অনেক তারতম্য পিসিও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ব্যাড পিসিওএস-এর আশঙ্গিক সমস্যা যেমন, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস টাইপ টু ইত্যাদি রিস্ক আরও বাড়তে থাকে। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে পাওয়ার উপায় উপায় জীবনযাত্রা, ও হরমোনাল ব্যায়াম চিকিৎসা। 

৪) পিসিওএস থাকলে কী সন্তানধারণ করা সম্ভব?

পথধারী পথ পিসিওএস বড় বাধা নেটওয়ার্ক জীবনযাত্রা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করে নারীধারণ করা সম্ভব। কম কম করানো, লেভেল নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক ধাপের পরের পরের মত কিছু সুনির্দিষ্টভাবে। পার্টও কাজ না হলে আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া যায়। পরিদর্শন পরামর্শ, পিসিওএস সমস্যা রয়েছে এমন এমনটি এমন মহিলাদের আইভিএফ সাহায্য নিয়ে সন্তানলাভের চাইতে বেশি থাকে।