জরায়ুর সমস্যা দূর হিস্টেরোস্কোপি-তে
- প্রকাশিত মার্চ 23, 2023
হিস্টেরো কথার অর্থ হল জরায়ু। আর স্কোপমান দেখা। হিস্টেরোস্কোপি-র অর্থ জরায়ুর ভিতরে দেখা। যে যন্ত্রের সাহায্যে এটি করা হয় তার নাম হিস্টেরোস্কোপ। এটা পাতলা টিউবেরের মতো দেখতে একটা যন্ত্র যার ক্যামেরা ও আলো লাগানো আছে। যন্ত্রটি জরায়ুমুখের ভিতর দিয়ে জরায়ুতে দেখা যায় ভিতরে ভিতরে সমস্যা কি না। এই যন্ত্রের সাথে অপারেটিভ ইউনিটও থাকে যা দিয়ে থাকে ফাইব্রয়েড, পলিপ বা সিস্ট অপসারের মতো ছোটখাটো অস্ত্রোপচার, বায়োপসির জন্য টিস্যু সংগ্রহের মতো কাজ সেরে ফেলা যায়।
সুচিপত্র
কেন হিস্টেরোস্কোপি করা হয়?
হিস্টেরোস্কোপির দু'টো কাজ আছে—একটা হল রোগ নির্ণয় (ডাগোনিস্টিক) আর হল অস্ত্রোপচার (অপারেটিভ)। যোনি থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, তলপেট ব্যাথার মতো সমস্যাগুলো হতে পারে না গঠনের জন্য জরায়ুর ভিতরের নীতিপলিপ, সিস্ট বা কিব্রয়েড দেখতে জরায়ুর ভিতরের প্রস্তাবিত এবং তার অবস্থান। অতিরিক্ত সন্তানধারণে অক্ষমতার কারণ জানার বা মহিলার যদি বারবার গর্তপাত হয়, তাহলে তা কেন অভয়ন্তর অবস্থার জন্য প্রয়োজন?
জরায়ুতে জন্মগত খুঁত হিসাবে ফাইব্রাস ব্যান্ড (সেপটামস) থাকলে তা জরায়ু গহ্বরকে দু'ভাগে ভাগ করে। এর ফলে সন্তানধারণ অক্ষমতা, জন্মের মতো সমস্যা হয়। হিস্টেরোস্কোপি করে এই ঘটনার কথা জানা যায়। পরিবর্তনের পর অনেক সময় হলে ফাইব্রেড, সেপামস, পলিপ বা সিস্ট ক্লাব সময়ই অপসারণ করে মনের জোরে, আমার হিস্টেরোস্কোপির অপারেটিভ দিক। এইভাবে পলিপ বাদকে বলে হিস্টোস্কোপি পলিপেক্টোমি আর ফাইব্রয়েড বাদকে বলে হিস্টেরোপি মায়োমেক্টোমি।
অনেক সময় সিরিয়ার সার্জারি বা রেডিশন রাপির জন্য বা সংক্রমণ থেয়িকের কারণে স্কার টিস্যু জমে জরায়ু ছোট হয়ে আসে। পার্ক বলে অ্যাশারমান সিনড্রোম। অনেক হিস্টেরো স্পোক টিস্যু অপসারণ করা সম্ভব।
হিস্টেরোস্কোপির সাহায্যে জরায়ুতে করানো জন্মনিরোধক যন্ত্র (আইইউডি) শনাক্তকরণ ও অপসারণ করা যায়। জরায়ুতে ব্যাপসির জন্যও হিস্টেরোস্কোপি করা হয়। দু'টি মাসিক ঋতুস্রাবের মাধে যদি রক্তপাত হয় বা ঋতুস্রাব যদি দীর্ঘ দিন ধরে ধরে (অ্যাবনর ইউটেরাইন ব্লিডিং) সেক্ষেত্রে হিস্টেরোস্কোপি পদ্ধতিতে ইউটেইন লাইনিংকে বিনষ্ট করে (এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাবলেশন) দূর করা যায়।
হিস্টেরোস্কোপি করার সময়
ঋতুরাব শেষ পর্বের পর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হিস্টেরোস্কোক করা হয় জরায়ুর ঠিক মত অবস্থার জন্য। মেনোপজ হয়ে অনেক আগে এটা করা যায়।
হিস্টেরোস্কোপি করার আগে পরীক্ষা
হিস্টেরস্কোপি করার আগে বর্ণশ্রোণীদেশ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সাধারণ রক্ত পরীক্ষাগুলো করতেও অসুস্থ আছে কি না জানার জন্য পরীক্ষা করা হয়। কারণ পেলভিক ইনফরমেন্স থাকলে হিস্টেরোপি করা যায় না। গর্ভাবস্থায়ও হিস্টেরোস্কোপি করা যায় না। তাই গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করা হয়।
হিস্টেরোস্কোপির কুল
পরীক্ষাগুলি নেওয়া নেওয়ার পর হিস্টেরোস্কোপি কবে হবে সেই দিনটি স্থির করেন। কয়েক দিন আগে অ্যাসপিরিন থেকে এবং ফারিনের রক্ত পাতলা করার ব্যবস্থা নেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়। সার্ভিক্স বা জরায়ু মুখ খোলার জন্য প্রমাণ দিতে দিতে যেটিস্টেরোস্কোপ ঢোকানো সহজ করে তোলে। সাধারণত হিস্টেরোস্কোপের ৪-১২ ঘণ্টা আগে এইটা বলা হয়। অস্ত্রোপচারের দিন মধ্যরাতের পর রোগীকে কিছু বা পান না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হিস্টেরোস্কোপি পদ্ধতি
তিনভাবে অ্যাস্থেশিয়া করা যায়। স্থানীয় বা লোকাল অ্যানাস্থেশিয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের জায়গাটি শুধু অসাড় করা হয় কম জিন্সের জন্য। রিজিওনাল বা আঞ্চলিকনাস্থেশিয়ার ক্ষেত্রে আলোচনার আরও অংশ আলোচনা অসাড় করা হয় এবং এটা অনেক সময় ধরে থাকে। আর সাধারণ অ্যানাস্থেশিয়ার ক্ষেত্রে রোগী সংশয়হীন হয়ে শুয়ে থাকেন বা ঘুমিয়ে বলতে থাকেন। অনেক জ্ঞান ফিরতে বেশ খানিকটা সময়।
চাপা স্পেকুলাম একটি যন্ত্র সাহায্যে জরায়ুমুখকে চাওড়া করেন৷ তারপর আবার দিয়ে পাতলা নকলের লিডের হিস্টেরোপ ঢোকানো হয় জরায়ুতে। হিস্টেরো ডাইপের সাহায্যেবনই অক্সাইড বা বিশেষ একটি তরল উপাদান (স্যালিয়ান সলিউশান ০.৯ শতাংশ) ভিতরের অংশে 'ফেসে'র রক্ত ও মিউকাস কার্টেন্ট দেখতে পাওয়ার জন্য।
হিস্টের স্পোক-এর আলো আর কর্ণর সাহায্যে ছবি মনিটরে ব্যাখ্যান ভিতরের কথা।
যদি অস্ত্রোপচার করা হয়, তাহলে তার অনুসারী যন্ত্র থাকে হিস্টেরোস্কোপ টিউবে।
হিস্টেরোস্কোপির মাধ্যমে কী করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে কতটা সময়। তবে, মোটামুটি ১০ থেকে ৩০ মিনিট, খেলাবিশেষে ১ ঘন্টা সময়।
হিস্টেরোস্কোর পর
লোকাল অ্যাস্থেশিয়া করা হলে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ক্লিনিক ছেড়ে দেওয়া হয। সাধারণ অ্যানাস্থেশিয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ঘট্টা পরে দীর্ঘভাবে জ্ঞানার্জন করা যায় না। অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাবে শরীরে স্বাভাবিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে এক রাতও যেতে পারে। হিস্টেরো স্কোপি দিয়ে সার্জারি করা হলে দু'তিন দিন বাড়িতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। আর এমন অবস্থার কাজ হলে পরদিন স্বাভাবিকভাবে দেখা যায়। শুধু যৌনসংসর্গ এক থেকে দু'সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বলা হয় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে।
হিস্টেরোস্কোপির বিপদ
সাধারণভাবে হিস্টেরোপি যন্ত্রণাদায়ক নয় এবং পাঠ। এখনও কিছু জটিলতা হতে পারে. যেমন, হিস্টেরোস্কোপ বা আনুষঙ্গিক অস্ত্রচারের যন্ত্রগুলো জরায়ুর দেওয়া ঘষার মতো ক্ষতি হতে পারে। গভীর রক্তপাত ও ব্যথা হতে পারে। সাধারণ সংক্রমণের খোলা থাকে। নাস্তিকেশিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে আবার জরায়ুর ভিতরে পরিষ্কার করার জন্য যে উপাদান দেওয়া হয় তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরে। তবে অন্য ব্যথা ও রক্তপাত বা দাগ হলে চিন্তার কিছু নেই। কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যাবে। কিন্ত রক্তপাত যদি বেশি হয় বা ব্যথা হয়, জ্বলে পুনি আসে তাহলে অবশ্য কাঁধের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এটা দেখতে দেখতে কম বলা। সমীক্ষায় সংখ্যা, ২ শতাংশ হিস্টেরোস্কোর দেখা দেওয়ার পর সমস্যা হয় এবং তার প্রতি সদস্যপদও তার ১ শতাংশ কমের।
হিস্টেরোস্কোপি ও আইভিএফ
প্রাকৃতিক বা জৈব উপায়ে যে সব দম্পতির সন্তান হচ্ছে না তাদের জন্য চিকিৎসা বিকি বিজ্ঞানে সহায়ক গর্ভাধান বা অ্যাসিস্টেড কনসেপশন পদ্ধতির বিকল্প বন্দোবস্ত রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল ও সফল হলআইভিএফ। আইভিএফ-এর পুরো কথাটা হল, ইন-ভিটফার্টিলেশন। ভিট্রো কথার অর্থ ব্যবহার। যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় তার কার্যকারিতা পরিবেশে জীবনযাপন করা হয়, তাকে ভিট্রোফার্টিলেশন। প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী অর্জনকারী আর প্রযুক্তির মেলবন্ধনে বেশ বৈজ্ঞানিক ধাপে শেষ হয় আইভিএফ। ওষুদের সাহায্যে মধ্যকষ্ট ডিম্বাণু তৈরি করা হয়। সেই ডিম সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে চাষাষ্ট শুক্রাণুর সঙ্গে মিলনসাধন করে এক বা শব্দ ভ্রূধন করা হয়। ক্যাথিটার সাহায্যে ভ্রূণ মিউ জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়। প্রাথমিক এতগুলো ধাপ ল্যাবরেটরিতে শেষ করার পরেও অনেক সময়ই এই ভ্রূণ প্রতিস্থাপিত হতে পারে না ঠিকভাবে এবং গ্রুপপাত হতে পারে। এই ধরনের গর্তপাতের ঘটনা যদি তিনবার হয় তখন তাকে বলে রিকারেন্ট ইনপ্ল্যান্টেশন। দু'টোর কারণে এই সমস্যা হতে পারে, একটা ভ্রূক্ষেপ ভালো করার জন্য, মাইক্রোসফটের যেটা পরীক্ষা করতে পারে সেটা ল্যাবরেটরিতে। আর একটি হল জরায়ুর সমস্যা। এই দলটি আসে হিস্টেরোস্কোপি। জরায়ুর ভিতরে পলিপ, ফাইব্রয়েড, সেপটাম, লাইনিং ইত্যাদি থাকলে প্রতিস্থাপনে সমস্যা হতে পারে। সেলেলে হিস্টোরোস্কোপির সাহায্যে সমস্যাটি নির্ণয় করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই দূরও করা যায়। অনেক সময় আইএফএফ শুরু করার জন্য জহুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হিস্টেরোস্কোপি করে মনের ভিতর। তবে একবার হিস্টেরোস্কোপি করা হলে কম করে তিন ব্যধান (বড় অস্ত্রোপচার হলে ৬ মাস) আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা
১) হিস্টোস্কোপি আর ল্যাপারোস্কোপির ভিন্ন কী?
ল্যাপারোস্কোপির সাহায্যে আমরা পেটের তলদেশের (লভিক) জরায়ু, ডিম্বাশ, ফ্যালোপিয়ান না ইহুদি থেকে দেখতে পাই। মিতু গঠন ও অবস্থান জানা যায়। সেখানে হিস্টেরোস্কোপিতে জরায়ুগহ্বরের ভিতরে ছবি দেখা যায়। হিস্টেরোস্কোপিতে শরীরে আমার আমিদ্র বা কাঁটাছে না, টিউশিষ্ট যন্ত্রটি যোনি দিয়ে ভিতরে ঢোকানো হয়। ল্যাপারোস্কোপিতে পেটের তলদেশে ছোট এক বা নির্দেশ আমি পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার করা হয়।
২) হিস্টেরোপি কী যন্ত্রাংশ?
পদ্ধতিটি এমনিতে যন্ত্রণাদায়ক নয়। এখনো একটা ধকল যায়। অ্যানাশেশিয়ার জার খুঁজে বের করার জন্য উপরের অংশ হতে পারে। তাই কষ্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে হিস্টেরোপি-র সাহায্যে কী করা হয়েছে, কতক্ষণ ধরে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে তার উপর এটা বোঝায়। আর এক জন রোগীর শরীরে একরকম প্রতিক্রিয়া হয়।
৩) হিস্টেরোপি কী ঋতুস্রাব বন্ধ করে দেয়?
উল্টো, ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করা যায় হিস্টেরোপিতে। যে কারণে সমস্যা, পলিপ, ফাইব্রেড ইত্যাদি অপসারণ করার পর ঋতুরাব কঠিন হবে আর কষ্ট হবে, সেই সমস্যা হবে। তবে, একবার হিরেরোস্কোর পর মাসটা দ্বিতীয় রক্তপাত, দাগ দেখা যায় এবং এই প্রথম ঋতুরাব অনিয়ম হতে পারে।
সম্পর্কিত পোস্ট
লিখেছেন:
আমাদের সেবাসমূহ
প্রজনন চিকিৎসা
উর্বরতার সমস্যাগুলি মানসিক এবং চিকিৎসাগতভাবে উভয়ই চ্যালেঞ্জিং। বিড়লা ফার্টিলিটি এবং আইভিএফ-এ, আমরা অভিভাবক হওয়ার পথে আপনার যাত্রার প্রতিটি ধাপে আপনাকে সহায়ক, ব্যক্তিগতকৃত যত্ন প্রদানের উপর ফোকাস করি।পুরুষ বন্ধ্যাত্বতা
পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্ব সমস্ত বন্ধ্যাত্ব ক্ষেত্রে প্রায় 40%-50% জন্য দায়ী। শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমে যাওয়া জেনেটিক, জীবনধারা, চিকিৎসা বা পরিবেশগত কারণের ফল হতে পারে। সৌভাগ্যবশত, পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্বের বেশিরভাগ কারণ সহজেই নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা যেতে পারে।আমরা পুরুষ ফ্যাক্টর বন্ধ্যাত্ব বা যৌন কর্মহীনতা সহ দম্পতিদের জন্য শুক্রাণু পুনরুদ্ধার পদ্ধতি এবং চিকিত্সার একটি বিস্তৃত পরিসর অফার করি।