ভ্রূণ স্থানান্তর কি (বাংলায় ভ্রূণ স্থানান্তর কি)

ভ্রূণ প্রতিস্থাপনে সন্তানলাভের সৌভাগ্য

কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। আমাদের এই কোডের সামনের রাস্তা কত চড়াই উতরাই, হাজার বাধা। কিন্তু সবসময়ই সমস্যা যেমন থাকে, তার সমাধানও থাকে। যেমন, আমার দম্পতি যদি এক বছর চেষ্টা করার পরে সন্তানধারণ না করতে পারে, সেক্ষেত্রে তাদের পাশে একটা সমস্যা আছে বলে নেওয়া হয়। এই সমস্যাটি পুষে না আপনার দূরত্বের দম্পতি যতগুলো শব্দের কাছে যাবে, দ্রুত এর সমাধান হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরের চেষ্টা বা প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংগ্রামের কারণ দূর করার চেষ্টা করেন। অনেক সময়ে ল্যাপারোস্কোপি-হিস্টিরিয়োপি করা হয়। এই সবে কাজ না হলে আইভিএফেটে ল্যাবরেটরি বিধাতা শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনসাধনে এক বা শব্দ ভ্রূ শুরু করে তা ক্যাথিটারের সাহায্যে জুন জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত করা যায়। 

ভ্রূণ প্রতিস্থাপন পদ্ধতি

আইভিএফ-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শেষ ধাপটি হল ভ্রূণ প্রতিস্থাপন। মহিলা ও পুরুষসঙ্গী ডিম্বাণু ও শুক্রাণু (দাতার থেকে সংগ্রহ করা হতে পারে) ল্যাবরেটরিতে নিষিক্তকরণের পরে ভ্রূণ তৈরি হয় চিরাচরিত পদ্ধতিতে বা শুক্রাণুকে প্রদেশ ডিম্বাণুতে ইঞ্জেক্ট করে (আইসিএসআই)। ভ্রূণ তৈরি হওয়া পরে তা ইনকিউবেটরে রাখা হয়। পাঁচ থেকে ছ'দিনের বন্ধু, ষোলো ঘোড়া বা ব্লাস্টোসিস্ট ভ্রূণ আমার প্রতিস্থাপিত করা হয়। সদ্য সৃষ্টির সময় অনেক সংরক্ষিত (ফ্রোজেন) ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়, যেটি আগে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছিল। পাল বলে ফ্রোজেন এমব্রায়ো ট্রান্সফার বাএফইটি। গবেষণায় ব্যবহারিত, সংরক্ষিত ভ্রূণের গুণগত মান ফারাক হয় না। 

ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের কাজটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করতে হয়। এই পর্বে এক বা শব্দ ভ্রূণ সহযোগে ক্যাথিটার যোনির মধ্য দিয়ে জরায়ু গহ্বরের মাঝখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাথিটার অবস্থানের অবস্থান করার জন্য আলট্রাসাউন্ডের সাহায্যের উত্তরের জন্য। আদর্শ জায়গাটি (জরায়ুর উপর থেকে ১-২ সেন্টিমিটার ছেড়ে) খুঁজে বের করুন। ক্যাথিটারটি একটি বার করে নিয়ে মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করা হয়, ভ্রূণ রিয়ে চিহ্নটি। আপনার কারণে ভ্রূণ রয়েব (বিরলব) সঙ্গে ক্যাথিটারটি লোকে প্রতিস্থাপনের কাজ করতে হয়৷ 

ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পর

আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বিশ্রামের পরে ক্লিনিকে ছেড়ে দেয়। তবে, বাড়িতে এক থেকে দু'দিন যতটা সম্ভব বিশ্রামে ভাল। কারণ এই জিনিষের মধ্যে ভ্রুণটি জরায়ুর দেওয়া জোড়ে (অ্যাটাচ)। 'ইমপ্ল্যান্ট' হতে আরও কয়েকদিন সময়।

জরায়ু যাতে ভ্রূণ ধরে রাখতে পারে তার জন্য প্রোজেস্টেরন এবং কখনও কখনও ইস্ট্রোজেন দেওয়া হয়। দু'সপ্তাহের অপেক্ষা। এই সময় পথ চলা স্বাভাবিক শারীরিক পরিশ্রম, পথ চলা, পথ চলা ইত্যাদি এ নিয়ে মনে হবে। স্বাস্থ্য কর আপনাকে নিয়মিত করতে হবে। নিয়োগ ফোলিক অ্যাসিড নিতে হবে। দু'সপ্তাহ পরে রক্ত ​​পরীক্ষা করে দেখা যায় গ্রুপধারণ সফল হয়েছে। আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে বাড়িতে 'হোম-কিট প্রেগন্যান্সি এর কমিশনার' বারণ করা হয়। কারণ আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশুদের শরীরে যে হরমোন প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য অনেক সময় 'ফলস পজিটিভ শব্দ' আসে।

সফল ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের লক্ষ্মণ

স্তনের পরিবর্তন- সফল ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের প্রাথমিক লক্ষ্মণ স্তনের পুনরাবৃত্তি ও ব্যথা হল। গ্রোপতিষ্ঠার শুরুতে সূচনাকারীদের স্তন উচ্চারণে বড় ও শক্তিশালী দেখায়। অনেক কষ্ট হয়। তবে আইভিএফ-এ হর ইস্ট্রোজেন মোন প্রয়োগ করা হয়, সেহেতু গ্রুপধারণ সফল না হওয়াতে এই পরিবর্তন হতে পারে।

রক্তের ছোপ- ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের এক সপ্তাহ পরে নিম্নাঙ্গের অমতার্বাসে রক্তের ছোপ বা দাগ স্পেটিং) দেখা যেতে পারে। জরায়ুর লাইনিং-এ ভ্রুণ ইটের জন্য 

পেট ফোলা- ঋতুরাবের শুরুর সময় তলপেটে যেমন একটা ফোলা ভারী ভাব থাকে, ভক্তা ভ্রুণ প্রতিস্থাপন সফল পর অনুভূত হতে পারে। এটার কারণ হল গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে প্রসূতির শরীরে প্রোজেস্টেরনের লেভেল দেখা যায়। তলপেট ফোলা ভাবের কারণ প্রোজেস্টেন। তবে, লক্ষ্য রাখতে হবে সেই সঙ্গে কি না। কারণ এটা তখন ওভারিয়ান হাইপারমুলেশন সিনড্রোমের (ওএইচএসএস) লক্ষ্মণ হতে পারে। আইভিএফ পদ্ধতিতে উর্বর ডিম্বাণু করার জন্য যে হরমোন প্রয়োগ করা হয় তার জেরে ডিম্বাশয় ফুলে যায়। তবে, খুব কম ক্ষেত্রে (০.৫% - ৫ %) এটি চিন্তার কারণ হয়।

তলপেটে ব্যথা- তলপেট নীল মোচড়ের মতো ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থার শুরুতে অনেক এই লক্ষ্মণ হয়। ভ্রূণকে ভালভাবে জায়গা করে নেওয়ার জন্য প্রোজেস্টেরন এই সময় পেশী ও লিগামেটকে দেয়। সেই কারণেই এই ব্যথা হয়।

মাথা ঘোরা- সাধারণ ধারণার ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের বমি ভাব ও মাথা ঘোরার মতো লক্ষ্মণ দেখা যায়। কিন্তু আইভিএফ-এ সফল ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরেই এই লক্ষ্মণ দেখা দেয়।

যোনিস্রাব- যোনিস্রাব বৃদ্ধি পাওয়া সফলভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরে অত্যন্ত সাধারণ একটি লক্ষ্য। উজ্জ্বল সাদা বা স্বচ্ছ তরল এই স্রাব জরায়ুতে সংক্রমণ হতে দেয় না। 

বন্ধি ভাব ও বন্ধতা- এই উপসর্গও প্রোজেস্টের জন্য এবং শুরু করা হয়।

ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরের এই লক্ষ্মণ অনেকটাই দেখা না পরিকল্পনা চিন্তার কিছু নেই। কারণ বহুপ্রকার ক্ষেত্রেই সফল রূপধারণ লক্ষ্যমাত্রা উপসর্গ থাকে না। 

পালভ্রূণ প্রতিস্থাপনের লক্ষ্মণ

জরায়ু ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরে-পরেই যায় না, সফল হয়। এর জন্য কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। ভ্রূণ অনেক কারণে জরায়ুর দেওয়া প্রতিস্থাপিত না হতে আপনার শরীর থেকে গঠন করা যায়। এই পরিস্থিতির কারণে হতে পারে। এটা হতে পারে আবার জরায়ুতে সমস্যা থাকার জন্য এটা হতে পারে। আমাদের জীবনযাত্রাও অনেক সময় গ্রুপধারণে নেতিবাচক প্রভাব বলে। যেমন ধূমপানের কারণে বা বেশি হলে 'ইমপ্ল্যান্টেশন' সমস্যা হয়। দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেসের জন্য হরমোনের ভার্সাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গোলমেল হল, যে লক্ষ্মণ বিষয়গুলি মনে করা হয়েছে, সেগুলোকে ভুলধারণ করা সফল হয়েছে, সেই আবার বঙ্গতার লক্ষ্মণ দাঁড়ায়। যেমন, 

তলপেটে ব্যথা ও রক্তপাত- ঋতুস্রাবের সময় শরীরে যে পরিবর্তনগুলি আসে, সবই গর্ভপাতের সময় অনুভূত হতে পারে। যেমন, তলপেটে ব্যথা, পিঠের দিকের দিকে ব্যথা, রক্তপাত, মাথা ঘোরা, বমি ভাব ইত্যাদি। 

নেগেটিভ প্রেগন্যান্সি রেজাল্ট- প্রেগন্যান্সি কলেজে দেখা হয় শরীরে এইচসিজি হরমোনের উপস্থিতির হার। ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের দু'সপ্তাহ পরেও এই হরমোন শরীরে পাওয়া না আমার গ্রোধার বিবেচনা করে 'নেগেটিভ' ধরে নেওয়া হয়।

আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা- অনেক সময় প্রাথমিক লক্ষ্মণ মনে হয়, এমন রক্তের ফলে পজিটিভ রেজাল্ট আসে। কিন্তু তারপরে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় দেখা যায়, সফল হয়নি। এটা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হতে পারে। যেমন, কেম নেটওয়ার্ক প্রেগন্যান্স। যখন ভ্রূণ জরায়ুর দেওয়া গাঁথে না বা গাঁথার পরে আর বাড়তে পারে না বা বিশিত হতে পারে না, তখন তাকে কেম যুক্ত প্রেগন্যান্সি বলে। রক্তের রক্ত ​​পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায় এবং তুস্রাবও বন্ধ থাকে। তাই আপাতভাবে মনে হয় জন্মধারণ সফল হয়েছে। প্রবেশ আলট্রাসাউন্ডে যায়

অনেক আবার গ্রুপপাট হয়ে থাকতেও টিস্যু জরায়ুর মধ্যেই থেকে বলে মনে হয় না।

অতিরিক্ত ইকপিক প্রেগন্যান্সির পাসও থাকে আইভিএফে। যখন ভ্রূণ জরায়ুর মধ্যে না থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউবে বন্দি হয়ে যায় তখন তাকে ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। গভীর প্রেগন্যান্সি কাউন্সিল রেজাল্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু পেটে ব্যথা, রক্তপাতের মতো লক্ষ্মণগুলো দেখা যায়। এই সময়ে না হওয়া পর্যন্ত এবং না হওয়া পর্যন্ত সম্ভব। 

পরবর্তী পদক্ষেপ

ভ্রূণ প্রতিস্থাপন সফল হলে প্রসূতি ভোটের নীতিমালা পরবর্তী চিকিৎসা হবে।

বাল্ব হলে প্রকাশিত, অবসাদ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি ভাবনা মনকে গ্রাস করে। এটা সাধারণ। তা বলে এই ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, চিকিৎসা নিজের বিজ্ঞানের উপরে ভরসা রাখতে হবে। শব্দের সাথে কথা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হবে। ব্যায়াম, শরীরচর্চা, খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, তা করতে হবে। সাধারণভাবে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করতে হলে দুই থেকে তিনটা একটা সময় দিতে হবে। যাতে শরীর ও মন সেরে সম্পূর্ণভাবে। সেই সময়ে সমস্যা গোলও নেবেন, ফলদ দেখা যেতে পারে। আইভিএফ-এর ভাল দিক হল বেশ কয়েকবার এই চেষ্টা করা যায়। সূচনা অধিবেশনে রাখা রাখা শুরু করা হয় এবং উত্তর পাসের অংশীকরণ যোগাড় করতে হয়। 

ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) ভ্রূণ প্রতিস্থাপন কী যন্ত্রণাদায়ক?

সাধারণ এটি যন্ত্রণামুক্ত পদ্ধতি বলা। অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়াই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে ইনজেকশন ড্রাগের সময় অংশ যন্ত্রণা হতে পারে, ক্যাথিটার  ঢোকানোর সময়ও অস্বস্তি হয়। আলট্রাসাউন্ডের জন্য পূর্ণ মূত্রথলি (ফুল বাল্ডার) প্রয়োজন, তাই অনেকের অসুবিধা হয়। তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশি সময় না।

২) জরায়ুতে ক'টি ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা উচিত?

এই সংখ্যাটি একজন মহিলার পুরানো ও ক'টি উন্নত গুণ ডিম্বাণু পাওয়া তার উপর। শুরুতে এই নিয়ে আলোচনা করা ভালো। সাধারণত ৩৭ এর কম পুরানো হলে এবং প্রথমবার আইভিএফ একটি ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। ৪০-এর বেশি পুরনো হলে দু'টি ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। মহিলার গ্রুপধারক অনেক কম তিন বা ততোধিক ভ্রুণও (হেভি লোড ট্রান্সফার বা এইচএলটি) প্রতিস্থাপন করা হয়।