ক্লাইনফেল্টার সিড্রোমের কারণ ও লক্ষ্মণ

একটি ক্রোমোজো মেরি কেউ নারী, কেউ নারী। মানবদেহ এতটাই সুক্ষ্ম ও জটিল। মাতৃ গর্বেরে শক্তির সঞ্চয়ের সময় ক্রোমোজোমের ঠিক হওয়া সন্তান পুত্র বিন্যাসে হবে। পুরুষ ইন-ওয়াইক্রোমোজোম আর নারীর ক্ষেত্রে তা এক্স-এক্স। কিন্তু কখনোই চিহ্নিতকারী ত্রুটির কারণে এই এক্স, ওয়াই ক্রোমোজোমের্যাসে গড়বড় হতে পারে। এমন একটি কাল পরিণাম হল সাইনফেল সিড্রোম।

ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম কাকে বলে

কেবলমাত্র তার কারণ পুরুষ ক্রোমের দেহে যদি এক্স এক্সপ্রেস মোজোম উপস্থিত থাকে, তখন তাকে ক্লাইনল্টার সিনড্রোম বলে। ক্রোমোজোম উপস্থিত থাকে- ৪৭, এক্সওয়াই। তাই এর আর এক নাম এক্সএক্সওয়াই সিনড্রোম। ক্রোমোজো বিন্যাসের এই অস্বাভাবিকতা জন্মগত। গর্ভাবস্থায় এটি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের সময়ে কিছু পড়ে না বা ছোটবেলায় না যায়। পূর্ণবয় পৌরুষত্বের বিকাশ বিকাশের বিকাশ বা যৌন ইচ্ছারঘাটি, ছোট শিশ্ন, মহিলাধারক অক্ষমতার মতো সমস্যা সমাধানের কারণ খুঁজতে গিয়ে ক্রোমোমের এই অস্বাভাবিকতা। এমন নয় যে রোগটি বিরল। সমীক্ষা মতামত, প্রতি ১০০০ শিশুপুত্রের মধ্যে এক থেকে দুই ক্রোমোজোম বিন্যাসে ত্রুটি থাকে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, জন্মগত এই সুন্দর এড়ানোর উপায় নেই। তবে, হরমোন প্রতিস্থাপনের শারীরিক ও মানসিক আচরণগতভাবে এই রোগের উপসর্গ মোকাবিলা বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রসঙ্গত, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম বংশগত রোগ নয়, নিটিক দেখতে মাত্র। একটি মহিলার এই উপসর্গ থাকলে পরবর্তী মহিলার এই উপসর্গে সামনে উপস্থিত হতে হবে কম।

ক্লাইনফেল্টার সিড্রোমের কারণ

ক্রোমোজো মেরে বিন্যাসে লিঙ্গের সূচনা হয় ভ্রূণের জন্মলগ্নে। সাধারণভাবে মা ও বাবা একটা করে 'সেক্স-ক্রোমোজোম' ধারণ করেন। মিউ ডিমে একটি এক্স ক্রোমোজোম থাকে। বাবা শুক্রাণুতে এক্স বা ওয়াই যে একটা ক্রোমোজোম পারে। এক্সমোজোমের শুক্রাণু দিয়ে ডিমটি নিষিক্ত হলে দু'টি এক্স ক্রোমোজোমে ক্রোনসন্তানের জন্ম হয়। আরওয়াই ক্রোমোজোমের শুক্রাণু এক্স ক্রোমোজোমের ডিমকে নিশিক্ত-ওয়াই ক্রোমোজোমে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিব্রত বাতানবশত পুত্রসন্তানের এক্স-ওয়াই ক্রোমোজো মেরির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি এক্সক্রোমোজোম যুক্ত হলে 'জেনেটিক ইড্রে' যে ত্রুটি হয় তাকে বলে ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম। বিভিন্ন কারণে এটা হতে পারে-
১) বাবার শুক্রাণু অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজোম করতে পারে,
২) মিডি এক্সপ্রেস ক্রোমোজোম ধারণ করতে পারে,
৩) ভ্রূণ বিকাশের প্রাথমিক সম্পর্ক বিভাজনে বিভ্রাট বা ত্রুটি হতে পারে।

এই অধ্যায় এক্স ক্রোমোজোমটি সমস্ত চাপে বাহিত হতে পারে আবার কিছু চাপে এই বিন্যাস উপস্থিত হতে পারে (মোজাইক ক্লাইনফেয়ার সিন ড্রোম)। সাধারণ ক্ষেত্রে একটার বেশি অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজোম হতে পারে (৪৮এক্সএক্সওয়াই, ৪৮এক্সএক্সএক্সওয়াই, ৪৯এক্সএক্সএক্সএক্সওয়াই)। যদিও সেগুলি অত্যন্ত বিরল।

ক্লাইনফেল্টার সিড্রোমের লক্ষ্মণ

ক্লাইফেল্টার সিনড্রোমের নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক ও মানসিক লক্ষ্মণ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, এই লক্ষ্ম বহিঃপ্রকাশ ব্যক্তিবিশেষে সামনে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে লক্ষ্মণ এতটাই গণ্য করা যায় না। বিশেষ করে বুদ্ধিমত্তা বা মনে লক্ষ্মণ পরিমাপ করা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই আগের কালকে হারের তীব্রতায় অক্ষমতা বা যৌন জীবনযাপনের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখাতে গিয়ে ভুলটি দেখতে আসে।

শারীরিক লক্ষ্মণ

ছোটবেলায় যে শারীরিক লক্ষ্মণগুলি থেকে ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোমের কথা যেতে পারে, তার মধ্যে হল-

১) ফর্ম ছোট শিশ,
>২) অণ্ডকোষ থলিতে অণ্ডকোষ নামা,
৩) হর্নিয়া,
৪) অতিরিক্ত পেশী।
অনেক পর পর অন্য নারী থেকে বেশ কিছু বড় শারীরিক লক্ষ্মণ এই কারণ চিহ্নিত করা যায়। যেমন-

১) পরিবারের অন্য সদস্যদের গড় মা পাড়া বেশি উচ্চতা, আদর্শ পা, পেটের অংশ কম, সরু কাঁধ, চাওড়া নিতম্ব,
২) পদে ছোট শিক্ষা এবং অণ্ডকোষ,
৩) অণ্ডকোষ থলিতে অণ্ডকোষ নামা,
৪) স্তনের উন্নতি বৃদ্ধি,
৫) সমান্তরাল পায়ের পাতা বাফ্ল্যাট ফিট,
৬) সহজ হাড় ও সেইজনিত সমস্যা।

বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষ্মণ ফুটে পূর্ণ, যা থেকে এই লক্ষণের ত্রুটির আন্দাজ দেখতে পাওয়া যেতে পারে-
১) যৌন ইচ্ছার ঘাটি,
২) কম শুক্রাণু,
৩) কম কংগ্রেসোস্টেরণ ক্ষরণ,
৪) ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ শৈথিল্য,
৫) স্তনের উন্নতি বৃদ্ধি,
৬) গোঁফ-দাড়ি কম, শরীরে লোমও কম কম,
৭) পেটে চর্বি,
৮) রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা,
৯) অতিরিক্ত পেশীও
১০) হাড়ের সমস্যা।
ক্লাইফেল্টার সিনড্রোম হয়, তাদের হাইপারটেনশন, টাইপ টুবেটিস, রক্তে ট্রাইগ্লিসারের ডায়াবেটিস বৃদ্ধি, থাইরয়েডের মতো বেশ কিছু রোগের উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়াও, অটোইমিন ডিজঅর্ডার জনিত রোগ, অস্টিওপোরোসিস, স্ট্যান ক্যানসারের মতো বেশ কিছু রোগের বিপদ থাকে।

মনে লক্ষ্মণ

ক্লাইফেলার সিনড্রোমেদের পুলিশদের মধ্যে কম-বেশিল্ট বিপদ হতে পারে।
১) এই সিনড্রোমে ব্লক বাসা, দাঁড় করানো, শেখা বা বুলি ফুটি হতে পারে।
২) শৈশব সামাজিক মেলামেশায় অস্বচ্ছন্দবোধ করে এরা, যেটা পরে আরও বাড়ে।
৩) অতিরিক্ত আবেগপ্রবন হওয়া। বুঝতে সমস্যা হয়।
৪)তালিতে সমস্যা হয় অনেক।
৫) এই সিনড্রোমেদের অনেকের মধ্যে এডিএইচডি (অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার) উপসর্গ যায়।
৬) পুরাতন কালসিনেড্রোমে এই ক্ষমতার মালিকানা অবসাদ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার মতো ভয় সমস্যায় ভোগেন।

ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম নির্ণয়

ক্লাইনফেল্টার সিড্রোম নির্ণয়ের জন্য ক্রোমোজোমের গঠন গঠন করতে হয়। ক্যারিও টাইপক্যাম একটি রক্তের মাধ্যমে এটি করা যায়। পূর্ণবয়স্ক বা শিশু, যে কারণে পুরানোই এই পরীক্ষা করা যায়। তবে, জন্মের আগে এই পরীক্ষা করা হয় না। গর্ভাবস্থায় কিছু পরীক্ষা করে দেখাতে পারে। যেমন, প্ল্যাসেন্টা (কোরোনিক ভিলাস স্যাম্পলিং) বা অ্যামনিওটিক ফ্লুইড (অ্যামনিওসেনটেসিস) থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার যোগব্যায়ামের মাধ্যমে ক্রোমোজোমের বিন্যাসে অস্বাভাবিকতা কি না জানা যায়। আরও, হরমোনের অস্বাভাবিকতা নির্ণয়ে রক্ত ​​ও মূত্রের পরীক্ষা করা যায়। এনআইপিটিন (ইনভেসিভ প্রিনাটাল কাউন্সিলিং) দেখা যেতে পারে অতিরিক্ত ক্রোমোজোম কি না। যদিও এই পরীক্ষা কতটা কার্যকর তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোমের চিকিৎসা

জিনগত এই ত্রুটির প্রকাশনা বা এর হাত থেকে মুক্তির উপায় নেই। তবে এই রোগের উপসর্গ কম বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু চিকিৎসা রয়েছে।

১)হরমোন রিপ্লেসমেন্ট– ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম খেলে তাদের কাউন্সিলোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কম হয়। আবার পৌরুষত্বের বিকাশ না হয় বা দেখতে পরে থমকে যায়। অণ্ডকোষের নিষ্ক্রিয়তা থেকে এই সমস্যাগুলি হয়। সেক্ষেত্রে কাউন্সিলোস্টেরন হর প্রতি স্থাপণ দেখতে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষমতা হিসাবে নিয়ন্ত্রণ বা ইনজেকশন প্রতিদান দিয়ে বা বড়দের ক্ষেত্রে জেল প্রয়োগ-সহ আরও কয়েকটা উপায় এই হরমোনস্থাপনের চিকিৎসা করা হয়। এর ফলে কংগ্রেসোস্টের সক্রিয় শারীরিক গঠনে বেশ কিছু, যেমন কিছু অংশে আসে, শরীরে পরিবর্তন আসে লোমের আধিক্য, পেশী দৃঢ় হয়, এনার্জি লেভেল বাড়ে, যৌনজীবনে ইচ্ছা বাড়ে। তবে, হরমন রিপ্লেস-এর এই প্রক্রিয়া প্রজননে অক্ষমতা সমাধানে আসে না। উদ্যোক্তা উন্নয়ন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার সময় হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বন্ধ রাখা হয়।

২) থেরাপি– ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোমের বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য শারীরিক, মানসিক থেরাপির সাহায্য নেওয়া যায়। যেমন 'ফিজ স্বাভাবিক করে থেরাপি' মজবুত করা যায় আবার কথা বলতে সমস্যা হয় তারা 'স্পি থেরাপি' হতে পারে। অবসাদ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা ফর্মের জন্য 'মেটাল থেরাপি' বা কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নেওয়া যায়। এই সমস্যায় ছাত্র ছাত্র সাহায্য করার জন্য ক্লাসে রুমে-শিক্ষাদের বিশেষ মনোনিবেশের প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কোলজ নিউক্লিয়ার সাথে দেখা হওয়া প্রয়োজন শিশুর বিরোধিতা বিকাশে কতটা উন্নতি হচ্ছে। প্রসঙ্গ, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোমেদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ অটিস্টিক।

৩) সাজারি- স্ট্যান ফর্ম কমানোর জন্য সার্জারি করা যেতে পারে।

সবশেষে বলা যায়, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রম এমন একটা কপিক্‌ট যাতে ব্যবস্থার হাত নেই। না বাবা, না মাউরদের অনুঘটক। কেন হয়, কাদের হয়, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। শুধু এটুকু বলা যায়, বাবা মায়ের বয়স বেশি হলে বিশেষ বছর ৪০-এর উপরে ঝুঁকি থাকে। জিনগত এই ত্রুটির মেরামতের উপায় না দেখাতে সমস্যাটি সময় চিহ্নিত করা এবং তা নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসার সাহায্য নিতে মনে দ্বিধা করা উচিত।

ভাষা জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

১) ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম কী বংশগত?

না, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাত্র। বংশ পরম্পরায় এটি প্রবাহিত হয় না। এমন একজন মহিলার এই উপসর্গ থাকলে পরবর্তী মহিলারা এই উপসর্গে সামনে উপস্থিত হবেন কম।

২) ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম থাকলে কী বাবাই যায়?

ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোমের উপসর্গ হল শুক্রাণু যোগ নাইট বা খুব কম ভোটে ভোটে। সমীক্ষা পরামর্শ প্রজননে অক্ষম পুরুষদের মধ্যে ৩.১ শতাংশ ক্লাইনফেল্টার সিড্রোমে পুলিশ। তবে, এই সিনড্রোম থাকলে যে বাবা এমন হয় না। বরং, শুক্রাণুর সমস্যা খুব বেশি হলে কার্যকরী পদ্ধতিতে সমাধানের উপায় রয়েছে। কাস্টিকুলার স্পার্ম এক্সট্রাকশন (টিআইএসই) করার পরে ইনট্রাসাইটো স্পার্মিক ইনপ্লাজম সক্রিয় (আইসিএসআই) পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব।