আপনার যাত্রা পোস্ট ধারণা

একটি সুস্থ গর্ভাবস্থার জন্য একজন ভাল এবং নির্ভরযোগ্য প্রসূতি বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার যত্নে অভিজ্ঞ একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয় যদি আপনি যমজ বা তিন সন্তানের মতো একাধিক শিশুর আশা করেন।

প্রসবপূর্ব ভিটামিন হল ভিটামিনের পরিপূরক যা গর্ভবতী মায়ের খাদ্যের পুষ্টির শূন্যতা পূরণ করার জন্য। ফলিক অ্যাসিডের মতো ভিটামিন গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশের জন্য অপরিহার্য এবং স্পাইনা বিফিডার মতো জন্মগত জটিলতা থেকে শিশুকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

যেকোনো ধরনের উর্বরতার চিকিৎসার সময় উভয় অংশীদারকে ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভাবস্থার পরে, গর্ভবতী মাকে অবশ্যই ধূমপান বা যে কোনও রূপে তামাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এটি অকাল প্রসব, কম জন্ম ওজন এবং প্রিক্ল্যাম্পসিয়া সহ বিভিন্ন গর্ভাবস্থার জটিলতার ঝুঁকির সাথে যুক্ত।

ক্যাফেইনের অত্যধিক ব্যবহার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি এবং ফলের রসের মতো স্বাস্থ্যকর পানীয়ের জন্য কফি এবং চায়ের মতো ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সবুজ শাক সবজি, তাজা ফল, চর্বিহীন প্রোটিন, অসম্পৃক্ত চর্বি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়। গর্ভাবস্থায় প্রক্রিয়াজাত চিনি, লাল মাংস, ট্রান্স-ফ্যাট, পাস্তুরিত দুগ্ধজাত দ্রব্য, কাঁচা মাছ বা কম রান্না করা মাংস, উচ্চ পারদযুক্ত মাছ, লিভার এবং নির্দিষ্ট কিছু পনির অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল এবং অবৈধ পদার্থের ব্যবহার বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি, গর্ভপাত এবং অন্যান্য গর্ভাবস্থার জটিলতার সাথে যুক্ত। আসক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসা সহায়তার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গর্ভাবস্থা ওজন বৃদ্ধির সাথে জড়িত। যাইহোক, এমনকি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং অকাল প্রসবের মতো গর্ভাবস্থার জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি গর্ভাবস্থার নিরাপদ ব্যায়াম ওজন বৃদ্ধি, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণ করতে সাহায্য করতে পারে

গর্ভাবস্থার অনেক জটিলতা সময়মতো নির্ণয় করা গেলে কার্যকরভাবে চিকিত্সা করা যেতে পারে। বিপদের লক্ষণ এবং গর্ভাবস্থার জটিলতার লক্ষণগুলি শেখা আপনাকে সময়মত চিকিৎসা হস্তক্ষেপ পেতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা থাকে